বিশেষ প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের কোরবানির পশুর হাটে বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে। উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার হাটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আগাম হাটগুলো থেকে অধিকাংশ গরু কিনছেন রোহিঙ্গা নাগরিকরা। নিজেদের টাকায় কোরবানি করার জন্য গরু কিনছেন তারা। রোহিঙ্গাদের মাঝে গরু বিক্রির জন্য ক্যাম্পের আশপাশে কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাট বসেছে।
শনিবার (২ জুলাই) উখিয়ার দারোগা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে শত শত গরু বিক্রি হচ্ছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই রোহিঙ্গা।
আব্দুল করিম নামের এক বিক্রেতা জানান, তিনি উখিয়ার টাইপালং এলাকা থেকে একটি গরু নিয়ে এসেছিলেন। সেটি এক লাখ ৩৫ হাজার টাকায় লম্বাশিয়া ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা নাগরিকের কাছে বিক্রি করেছেন।
ছগির আহমদ নামের আরেক বিক্রেতা জানান, ঘরের দুটি গরু হাটে এনেছিলেন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কয়েকজন দুই লাখ পাঁচ হাজার টাকায় গরু দুটি কিনে নিয়ে যান।
উখিয়া দারোগাবাজার কোরবানির হাটের ইজারাদার জানান, কোরবানির হাটে পশু বেচাবিক্রি জমে উঠেছে। ক্রেতাদের মধ্যে কে বাংলাদেশি আর কে রোহিঙ্গা বোঝা মুশকিল।
উখিয়ার মরিচ্যাবাজারে পশুর হাটেও শনিবার প্রচুর গরু-মহিষ বিক্রি হয়েছে। অধিকাংশ গরু রোহিঙ্গারা কিনেছেন বলে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এদিকে কোরবানিকে সামনে রেখে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালী ও থাইংখালীকে কয়েকটি অস্থায়ী কোরবানির হাট বসানো হয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা রোহিঙ্গাদের কাছে গরু বিক্রির জন্য এসব হাট বসিয়েছেন।
উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গারা ব্যক্তিগতভাবে কোরবানির দেয়ার জন্য যেভাবে বাজার থেকে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন, এতে স্থানীয়দের জন্য কোরবানির গরুর সংকট হবে।
উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, রোহিঙ্গাদের মাঝে গরু বিক্রির জন্য কয়েকজন প্রভাবশালী থাইংখালী ও বালুখালী ক্যাম্পের পাশে অস্থায়ী পশুর হাট বসিয়েছেন। এই হাটগুলোর কোনও বৈধতা নেই। হাট থেকে ইজারার নামে চাঁদাবাজি করছে প্রভাবশালীরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-