উখিয়া প্রতিনিধি •
কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্প গুলোতে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতন এবং সহিংসতা রোধে হটলাইন চালু করেছে ৮ এপিবিএন। এতে নারী নির্যাতন ও সহিংসতা অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে বলে দাবী রোহিঙ্গা নেতাদের।
চলতি বছরের মার্চ থেকেই (০১৩ ২০১৯ ২০১৮) এই হটলালাইন নাম্বার চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ৮ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) কামরান হোসেন।
তিনি জানান, পানবাজার পুলিশ ক্যাম্প-৯ এ নারী ও শিশুদের জন্য স্থাপন করা হয়েছে বিশেষ হেল্প ডেস্ক।
এই হটলাইনটিতে সার্বক্ষণিকভাবে পর্যায়ক্রমে একজন নারী এপিবিএন সদস্য দায়িত্বে নিয়োজিত থাকেন। রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে এই নাম্বারে অভিযোগ এলেই ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য ক্যাম্পের সংশ্লিষ্ট ব্লকে দায়িত্বরত টহল টিমকে তৎক্ষনাত বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, এই সেবাটি সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক ভাবে অবগত করতে ৮ এপিবিএন এর আওতাধীন প্রতিটি ক্যাম্পের ব্লক গুলোতে হটলাইন নাম্বার সম্বলিত ‘স্টপ ডমেস্টিক ভায়োলেন্স’ লিখা পোষ্টার সাটানো হচ্ছে।
রোহিঙ্গা নারীরা জানান, আগে নির্যাতনের শিকার হলে কার কাছে জানাবো বা কোথায় সাহায্য চাইবো সেটা জানতাম না। তবে এখন হটলাইন নাম্বারটি চালু হওয়ার পর থেকে আমরা আগের তুলনায় পারিবারিক ও পারিপার্শ্বিক ভাবে অনেকটা সুরক্ষিত।
রোহিঙ্গা নেতাদের দাবী, ক্যাম্পের অভ্যান্তরে এখন পারিবারিক সমস্যার বিষয় গুলো রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে ৮ এপিবিএন এর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বৈটকে স্থানীয় ভাবে সমাধান করে দেয়া হয়। এটা ক্যাম্পে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের জন্য একটি ভালো দিক।
৮ এপিবিএন কমান্ডিং অফিসার (পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান জানান, ক্যাম্পে মূলত নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিদিনই নারীকর্তৃক ফোন কলের সংখ্যা বেড়ে চলছে এবং সমস্যা গুলো সমাধান করা হচ্ছে। এই হটলাইন সেবাটি দিন দিন রোহিঙ্গাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাছাড়া নারী নির্যাতন রোধের পাশাপাশি ক্যাম্পে কোন অপরাধ সংগঠিত হলে হটলাইনে মাধ্যমে সংবাদ এলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এই সেবাটি ক্যাম্প গুলোর আইনশৃংখলা রক্ষা ও অপরাধ দমনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা রাখি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-