চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার যাচ্ছে জঙ্গল সলিমপুরে

চট্টগ্রাম •

জঙ্গল সলিমপুর থেকে অবৈধ বসবাসকারীরা চলে যাবে। এ এলাকা নিয়ে সরকারের মহাপরিকল্পনা রয়েছে। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দী বহনকারী চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সেখানে স্থানান্তরিত হবে। পুরো এলাকা একটি ইকো পার্কে পরিণত হবে।

এ ইকো পার্কের ভেতরে স্পোর্টস ভিলেজ, মডেল মসজিদ যেমন থাকবে, জাতীয় তথ্যকেন্দ্র, এমনকি নভোথিয়েটারসহ আরো অনেক কিছু থাকবে। পাহাড়ের চূড়ায় কিছুই থাকবে না, পাহাড় ঘেঁষেও হবে না কোনো স্থাপনা। সবকিছু করা হবে সমতলেই। চট্টগ্রাম জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মহাপরিকল্পনার কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, এ মহাপরিকল্পনা এখনো সার্ভে পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে। সার্ভের কাজ চলছে। শেষ হলে শীঘ্রই ভূমি মন্ত্রণালয়ে এটির মাস্টার প্ল্যান উপস্থাপন করা হবে।

জেলা প্রশাসক বলেন, চট্টগ্রামের পাহাড়ে বসবাসকারীদের নিয়েও সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে। তাদেরকে পুনর্বাসন করা হবে। এ কাজটিও চলমান রয়েছে। প্রকৃত পাহাড়ে বসবাসকারীদের তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরপর পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হবে।

সে অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় পাহাড়ে বসবাসকারীরা চলে আসবে। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে যারা এখনো বসবাস করছেন তারা দ্রুত নিরাপদ জায়গায় চলে যান উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, আগামী রবিবার পর্যন্ত আপনাদের সময়। এরপর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে পাহাড় নিরাপদ করা হবে।

পাহাড়ের বিদ্যুৎ সংযোগ নিয়েও জেলা প্রশাসক কথা বলেন। তিনি বলেছেন, পাহাড়ে থাকা প্রায় সবকটি বাড়িতেই বিদ্যুৎ রয়েছে। পানির সংকট নেই। সিলিন্ডার ব্যবহার করে রান্নাবান্নার কাজ হয়। অবৈধভাবে অন্যের পাহাড়ে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীরা এ সুযোগ কিভাবে পায়? যাদের পাহাড় তারাও জানেন এসব। সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছে তারা যদি আন্তরিক হয়, তারা যদি তাদের কাজটুকু দায়িত্ব নিয়ে করে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ভারী বর্ষণ শুরু হলে পাহাড় নিয়ে দুশ্চিন্তা থাকবে না। তিনি বলেন, ইউটিলিটি সুযোগ সুবিধা না পেলে ঝুঁকি নিয়ে এবং অবৈধভাবে কেউ পাহাড়ে বসবাস করতেন না।

আসন্ন কোরবান নিয়েও কথা হয় মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় সভায়। এ নিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই কোরবানির পশুর হাট বসবে। যত্রতত্র কোরবানির পশুর হাট বসালেই ব্যবস্থা। পশুর হাটকেন্দ্রিক কোনো ধরনের চাঁদাবাজি বরদাস্ত করা হবে না।

আরও খবর