ইমরান আল মাহমুদ, কক্সবাজার জার্নাল •
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮। যেখানে গতবছরের অক্টোবরে ছয়জন রোহিঙ্গাকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। একই ক্যাম্পে গত ৯ জুন রাতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রোহিঙ্গা মাঝি আজিম উদ্দিনকে।
হত্যার পরেরদিন রাতে অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় তিনজন আসামীকে গ্রেফতার করে ৮ এপিবিএন। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,৪নং আসামী ক্যাম্প-১৯ এর এ-৮ ব্লকের মৃত মো. সলিমের ছেলে মো. হাসিম(৪০),৫নং আসামী ক্যাম্প-১৬ এর ডি-৬ ব্লকের আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. জাবের ও ৬নং আসামী ক্যাম্প-১৬ এর সি-৬ ব্লকের মৃত আবুল কাসিমের ছেলে মো. ইলিয়াছ(৪০)।
এদিকে, একবছর না পেরোতে ক্যাম্প-১৮ তে আরও এক খুনের ঘটনায় নিস্তব্ধ হয়ে উঠেছে ক্যাম্পের পরিবেশ। সাধারণ রোহিঙ্গাদের মাঝে বিরাজ করছে অজানা আতংক।
অন্যদিকে ক্যাম্প-১৮ এর খুনের ঘটনার পর ক্যাম্প-৪ থেকে রোহিঙ্গা যুবকের হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৪ এর মোহাম্মদ সমিন বলে জানা যায়।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাঝি আজিম উদ্দিনকে হত্যার ঘটনায় কক্সবাজার জার্নালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ৮ এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(মিডিয়া) মো. কামরান হোসেন বলেন,”ক্যাম্প-১৮ তে সিক্স মার্ডারের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২১জন দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতার করে ৮ এপিবিএন। এরপর থেকে ক্যাম্পে বিট পুলিশিং কার্যক্রম ও ভলান্টিয়ার কার্যক্রমের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে কিছু দুষ্কৃতকারী অপরাধ কার্যক্রম পুনরায় শুরুর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যার ফলে ৯ জুন রাতে রোহিঙ্গা মাঝি আজিম উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পরদিন মামলা দায়েরের পর চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।”
মাদকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,”রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকি। মাদক উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের অভ্যন্তরে অভিযানে গিয়ে ক্যাম্পের বাইরের মাদক ব্যবসার নেটওয়ার্কের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। তাছাড়া ৮ এপিবিএন দায়িত্ব নেওয়ার ১৬ মাসে ১৮ লাখ ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।”
আজিম উদ্দিন কে কুপিয়ে হত্যা ও বার বার একই ক্যাম্পে হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,”হত্যার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে এপিবিএন সদস্যরা উপস্থিত থেকে তাদের হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে আজিম উদ্দিনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ভলান্টিয়ার কার্যক্রম সুন্দরভাবে পরিচালনা করার ফলে দুষ্কৃতকারীরা ক্যাম্পে অবস্থান করতে পারছেনা। ভলান্টিয়ারদের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে বা ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিনজন এজাহারনামীয় আসামী গ্রেফতার করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-