উখিয়ায় বেড়েছে মোবাইলে জুয়া খেলা!

উখিয়া প্রতিনিধি •

কক্সবাজারের উখিয়ার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইলে বিভিন্ন এ্যাপসের মাধ্যমে চলছে জুয়া খেলা।

সরেজমিনে দেখো গেছে, গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন দোকান, লোক সমাগম কম এমন স্থানে, গ্রামাঞ্চলের বড় বড় বাগানে আড়ালে নিরিবিলি জায়গায় ৩ থেকে ৪ জন একসঙ্গে বসে মোবাইল ফোনে এই জুয়া খেলছে। এমনকি বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও স্কুলপড়ুয়া কিশোর-তরুণরা এই জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ছে।

এতে প্রতিটি গেমে খেলোয়াড়রা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা বাজি ধরছে। সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে এ খেলা চলতেই থাকে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবারগুলো। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিপথগামী হয়ে পড়ছে তরুণ এবং কিশোররা। মোবাইলের এই জুয়াকে কেন্দ্র করেই ঘটছে নানা ঘটনা। এই জুয়ার জুয়ার টাকা জোগাড় করতে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তারা। তবে জুয়া খেলা বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা নেই।

এক কলেজ শিক্ষক জানান, যে এ্যাপস এর মাধ্যমে এই জুয়া খেলা খেলছে তা বাংলাদেশে বন্ধ করা উচিত। কেননা এ খেলা নিয়েই মারা-মারিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়। অনতিবিলম্বে এটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার।

উখিয়া উপজেলার বেশ কয়েকজন তরুনের অভিভাবক বলেন, এই জুয়া খেলায় উঠতি বয়সের তরুণরা বেশি ঝুঁকছে। তরুণরা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের লোকজন এ খেলার সাথে জড়িত। অতি দ্রুত এ খেলা বন্ধ করার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

অন্যান্য এলাকার দেখাদেখি সম্প্রতি রাজাপালং ইউনিয়নের উত্তর পুকুরিয়ায় রমরমা জুয়া খেলার অভিযোগ উঠেছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে Mobarak cox নামের একটি ফেসবুক আইডিতে উত্তর পুকুরিয়ায় রমরমা জুয়া খেলা চলতেছে বলে অভিযোগ তুলেন।

তার স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, উখিয়া উপজেলার অন্তর্গত রাজাপালং ২নং ওয়ার্ডের উত্তর পুকুরিয়া গ্রামের পুর্ব পাড়ায় ইসলাম কোম্পানির মার্কেটে শফি আলম নামের এক ব্যবসায়ীর দোকানে, রমরমা জোয়ার আসর বসে প্রতি রাতে।
তাজ, লুডু, ক্যারাম খেলার নামে প্রতিনিয়ত চলছে জুয়া খেলা। খেলায় আসক্ত হচ্ছে, ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ,
এমনকি শিশু কিশোর পর্যন্ত।

জুয়া খেলার কারণে প্রতিনিয়ত মারামারির ঘটনাও ঘটে যাচ্ছে, এমনকি বড় ধরনের সংঘাত হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এছাড়া সে একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও) মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, জুয়া খেলা বন্ধের ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ খেলা বন্ধে আমাদের সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের ব্যাপারেও অভিযান পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর