চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : একটি প্রিন্টার মেশিনের অভাবে বন্ধ এক্স-রে কার্যক্রম

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া •

কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি প্রিন্টার মেশিনের অভাবে চালু করা যাচ্ছেনা এক্স-রে কার্যক্রম। ফলে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ রোগীরা। প্রয়োজনের তাগিদে বাইরে থেকে এক্স-রে করাতে গিয়ে রোগীদের দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা পলাশ সুশীল জানান, ২০২০ সালে এই হাসপাতালে একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। এরপর ২০২১ সালের জুলাই মাসে মেশিনটির জন্য একজন টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেয়া হয়। সব কিছু থাকলেও শুধু নেই একটি প্রিন্টার মেশিন। ফলে এই প্রিন্টার মেশিনের জন্য দীর্ঘ দুইবছর ধরে চালু করা যাচ্ছেনা এক্স-রে মেশিনটি। এমতাবস্থায় অনেকটা বসে বসে দিন পার করছেন এক্স-রে টেকনিশিয়ান শহিদুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি একটি প্রিন্টার মেশিনের ব্যবস্থা করেন তাহলে আমরা রোগীদের এক্স-রে সেবা দিতে পারবো।

এক্স-রে টেকনিশিয়ান শহিদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালে এই হাসপাতালে প্রথম ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন স্থাপন করা হয়। গত বছরের জুলাই মাসে এই হাসপাতালে যোগদান করি এক্স-রে টেকনিশিয়ান হিসেবে। ডিজিটাল মেশিনটির সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও একটি প্রিন্টার মেশিনের অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা এক্স-রে মেশিনটি।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা অনেক হতদরিদ্র রোগীরা জানায়, চিকিৎসা সেবা নেয়ার সময় ডাক্তাররা এক্স-রে পরীক্ষা দিলে প্রয়োজনের তাগিদে তা বাহির থেকে করে আসতে হয়। এতে আমাদের দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এছাড়া বাহির থেকে এক্স-রে করাতে গিয়ে রোগীকে এদিক-ওদিক ছুটাছুটি করতে হওয়ায় পোহাতে হচ্ছে বাড়তি ভোগান্তি। অনেক রোগী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,এই হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন রয়েছে, টেকনিশিয়ানও রয়েছে। শুধু নেই একটি প্রিন্টার মেশিন। এই প্রিন্টার মেশিনের জন্যই এক্স-রে কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন অনেক অসহায় ভোক্তভোগী রোগী।

চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শোভন দত্ত বলেন, এই হাসপাতালে যোগদান করেছি বেশ কয়েকদিন হলো। হাসপাতালে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন এবং টেকনিশিয়ানও রয়েছে। নেই শুধু একটি প্রিন্টার মেশিন। যার জন্য এক্স-রে মেশিনটি চালু করা যাচ্ছেনা। তিনি আরও বলেন, বিষয়টির বাপারে আমার আগের কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে থাকলে আমি লিখিতভাবে সিভিল সার্জনের কাছে অভিহিত করবো। যোগদানের পর থেকে আমি সর্বাত্নক চেষ্টা করছি হাসপাতালে আগত রোগীরা যাতে সর্বাত্নক স্বাস্থ্য সেবা পায়।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, চকরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কতর্ৃপক্ষের কাছ থেকে বিষয়টির ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে এ ব্যাপারে তড়িৎ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর