এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া •
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বিভিন্ন হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৫টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়।
রবিবার (২৯ মে) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চকরিয়া পৌরশহর ও বদরখালী ইউনিয়নে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা.ইফতেকারুল মিশুক জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী সারাদেশব্যাপী অনিবন্ধিত হাসপাতাল-ক্লিনিক, ডায়াগনিষ্টক সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় চকরিয়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রাহাত উজ জামান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নেতৃত্বে চকরিয়া পৌরশহর ও বদলখালীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়।
অভিযানকালে বৈধ কাগজপত্র না থাকায় চকরিয়া পৌরশহরের একুশে ডায়াগনষ্টিক, সেন্ট্রাল হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগ, বদরখালী জেনারেল হাসপাতালের প্যাথলজী বিভাগ, বদরখালী মডার্ণ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, বদরখালী ল্যাব হাউজসহ ৫টি ডায়াগনিষ্টক সেন্টার বন্ধ করে দেয়া হয়। এসময় সেন্ট্রাল হাসপাতাল, বদরখালী জেনারেল হাসপাতালে রোগি ভর্তি থাকায় ১৫দিনের জন্য কার্যক্রম চালানোর সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। তবে, এ সময় নতুন কোন রোগি ভর্তি করানো যাবেনা বলেও নির্দেশনা দেয়া হয়।
এছাড়াও চকরিয়ায় আরো ১০/১২টি ক্লিনিক ও হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। এদের মধ্যে অনেকে বৈধ কোন কাগজ দেখাতে পারেনি। তাই তাদের কার্যক্রম বন্ধে আগামী ১৫দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয় ।
অভিযানকালে চকরিয়া সহকারি কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.রাহাত উজ জামান, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সায়েমুল ইসলাম, চকরিয়া সেনিটারি ইন্সেপেক্টর জয়নাল আবেদিন, চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার মোহাম্মদ হোসেন চকরিয়া থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-