সুগন্ধায় মসজিদের ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত, ফুঁসে ওঠেছে মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক •


কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টস্থ বায়তুল মামুর জামে মসজিদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত পরিচালনা কমিটির কয়েকজন ব্যক্তি।

এ ঘটনা জানাজানি হলে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পবিত্র মসজিদের টাকা আত্মসাতের প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠেছে সাধারণ মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা। যার অংশ হিসেবে আত্মসাতকৃত টাকা ফিরিয়ে দিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বাদে জুমা মসজিদের সামনে সাধারণ মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।

এতে মুসল্লীরা জানিয়েছেন, মসজিদ কমিটির সাবেক সহ—সভাপতি লাল মিয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন, সাবেক ক্যাশিয়ার মহিউদ্দিন, সাবেক সদস্য নাজিম দীর্ঘ ৬ বছর মসজিদের দায়িত্ব পালন করে। দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে সভাপতির চোখ ফাঁকি দিয়ে মসজিদের প্রায় ৪০ লাখ টাকা লোপাট করে। এছাড়া মসজিদের অজু খানা ভেঙ্গে দোকান দেওয়ার কথা বলে জনৈক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ লক্ষ টাকা ব্যক্তিগত জামানত নিয়ে ১০ হাজার টাকায় ভাড়া দিয়ে দেয়। একইভাবে আরেক ব্যক্তিকে দোকান দেওয়ার কথা বলে ৩ লক্ষ টাকা জামানত নেয়। এসব বিষয় মসজিদের সভাপতি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে তিনি টাকা আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুনীর্তি হয়েছে জানতে পেরে অজুখানা ভেঙ্গে দোকান নির্মাণ না করতে নির্দেশ দেন। সেই সাথে ওই ব্যক্তিদের দ্বারা পরিচালিত মসজিদ কমিটি ভেঙ্গে দেয়।

বক্তারা বলেছেন, গত ১৩/০৫/২০২২ইং জুমাবার মসজিদে ১৮ হাজার ৫০০ টাকা পাওয়া যায়। আন সিজনে যদি এই পরিমাণ টাকা মিলে তাহলে সিজনে এর তিন—চার গুণ টাকা মিলবে।

এদিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ৬ বছর দায়িত্ব পালনকালে মসজিদের যাবতীয় আয়—ব্যয় হিসাব চেয়ে আত্মসাৎকৃত টাকা মসজিদ ফান্ডে ফিরিয়ে আনার দাবিতে দুদক, জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে সাধারণ মুসল্লীরা। তাই দ্রুত পবিত্র মসজিদের টাকা লুটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে মসজিদের টাকা ফেরত পাওয়ার দাবি সাধারণ মুসল্লীদের।

প্রতিবাদ সমাবেশে দানু, সেলিম, ফরিদ, শাহ আলম, ফরিদুল আলম ও ইউনুছসহ শত শত মুসল্লী ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর