১৪ এপিবিএনের দুই বছরের সফলতা: বিপুল অস্ত্র, ইয়াবা, স্বর্ণ ও নগদ অর্থসহ গ্রেফতার ১৭৯৮

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলো থেকে প্রায় দুই বছরে ১০ লক্ষ পিস ইয়াবা বড়ি, বিপুল পরিমান বিভিন্ন মাদক ও ৩১ টি দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমান দেশী বিদেশী অর্থসহ ১ হাজার ৭৯৮ জন রোহিঙ্গা অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (১৪ এপিবিএন)।

সূত্র মতে, ২০২০ সালের জুন থেকে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব পায় ১৪ এপিবিএন। পরবর্তীতে ২০২১ সাল নাগাদ ১৬ ও ৮ এপিবিএন ব্যাটালিয়নকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সংযুক্ত করা হয়। বর্তমানে মোট ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে ১৫টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ৫ লক্ষাধিক রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা ও আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে রয়েছে ১৪ এপিবিএন।

১৪ এপিবিএন এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন কালে শুরু থেকে এই পর্যন্ত প্রায় ১০ লক্ষ পিস ইয়াবা বড়ি, ৮৫০ ক্যান বিদেশি বিয়ার, ৪৮ কেজি গাঁজা, ৩১টি দেশি ও বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ৪১ রাউন্ড গুলি, ১৯টি কার্তুজ, ৩টি ম্যাগজিন, ১ কেজি ২৫২ গ্রাম স্বর্ণ, ৩৭ লক্ষ ৫৩ হাজার ১২০ টাকা (বাংলাদেশী মুদ্রা) এবং ৩১ লক্ষ ৭৪ হাজার ৮০০ কিয়াট (মায়ানমার মুদ্রা) উদ্ধার করেছে। এছাড়াও সর্বমোট ১হাজার ৭৯৮ জন রোহিঙ্গা অপরাধীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তৎমধ্যে ৪২৫ জন মাদক কারবারী, ১১৩ জন অবৈধ অস্ত্রধারী, ২০৯ জন দুষ্কৃতিকারী এবং ১ হাজার ৫১ জনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, গেলো বছর সেপ্টেম্বরে আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) চেয়ারম্যান মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ১৩ জন ও ক্যাম্প ১৮তে সিক্স মার্ডারের সাথে জড়িত ২ জন এবং মিয়ানমারের নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনের (আরসা) কথিত কমান্ডার আবু আম্মার উরুফে আতাউল্লাহ জুনুনির ভাই শাহ আলী কে ড্রোন অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে ১৪ এপিবিএন।

১৪ এপিবিএন এর অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাঈমুল হক জানান, ক্যাম্পে হত্যা, অস্ত্রবাজি ও মাদক কারবার জিরো লেভেলে নামিয়ে আনতে কয়েকটি বড় পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। এসব কাজে সাংবাদিক ও স্থানীয়দের সহযোগীতা অবশ্যই প্র‍য়োজন। ব্যাটালিয়নের প্রত্যেকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের কারনেই বিগত দিনে এসব অর্জন সম্ভব হয়েছে।

আরও খবর