নিজস্ব প্রতিবেদক •
টেকনাফে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের এলোপাতাড়ী দায়ের কোপে নুরুল হক ভূট্টো নামে এক ব্যাক্তি নিহত হয়েছে।
উক্ত ঘটনায় আরো দুই যুবক আহত হয়েছে।
১৫ মে (রবিবার) বিকালের দিকে টেকনাফ সদর ইউপি মৌলভীপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছিল।
খবর পেয়ে টেকনাফ সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও মডেল থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর কর্তব্যরত ডাক্তার ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া নুরুল হক ভুট্রোর অবস্থা আশংখা জনক দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে দেয়। অবশেষে রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার হাসপাতালে পৌঁছলে দায়িত্বরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
পুলিশ জানায়, হামলাকারী মো.একরাম আত্মস্বীকৃতি ইয়াবা কারবারী তার ভাই আব্দু রহমানও অত্র এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী।
এছাড়া নিহত নুরুল হক ভূট্টো এলাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদককারী হিসেবে পরিচিত ছিল। তাদের বিরোদ্ধে থানায় সাংবাদিক হামলা,অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। স্থানীয়দের কাছ থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে গত ইউপি নির্বাচনের শত্রুতার জেরধরে এ ঘটনা ঘটে। তবে উভয় পক্ষের এলাকায় মাদক লেনদেনসহ শক্তি প্রয়োগের কারনে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ রয়েছে।
নিহত নুরুল হক ভুট্রো (৩৫) টেকনাফের নাজির পাড়া মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র। আহতরা হলেন, তার ফুফাত ভাই আব্দুর শুক্কুর (৩৬) ও গুরা মিয়া (৬০)।
খরব নিয়ে আরো জানাযায়, রোববার বিকেলে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন এলাকায় একটি বিচার শেষ করে নুরুল হক ভুট্রোসহ তার সহযোগিরা মোটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে মৌলভীপাড়া এলাকায় পৌছলে আত্মস্বীকৃত ইয়াবা ব্যবসায়ী মো.একরাম ও আব্দু রহমানের নেতৃ্ত্বে তাদের লোকজন মোটর সাইকেল থেকে নামিয়ে রাস্তার উপর ফেলে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। পর্যায়ক্রমে কুপিয়ে দেহ থেকে একটি পা বিচ্ছিন্ন করে। পরে বুকে ও মাথায় দুই হাতে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় তার সহযোগিকে এলোপাতাড়ী কোপিয়ে জখম করে।
পরে গুরুতর আহত অবস্থায় পরে থাকতে দেখে রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে বিরাজ করছে।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা: ইফফাত কামাল জানান, একজনের পা বিচ্ছিন্নসহ তিনজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের অবস্থার অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে কক্সবাজারে নেওয়ার পথে একজন মারা গেছে বলে পরিবারের কাছ থেকে শুনেছি।
এ বিষয়ে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জিহাদ জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পা বিচ্ছিন্নসহ আহত তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনা একজন নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। ঘটনাটি খুবই নাইক্যারজনক হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিনের দ্বন্ধ রয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। হামলাকারীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে এই মর্মান্তিক হত্যা কান্ডে জড়িত অপরাধীদের আইনের আওয়তাই নিয়ে আসার জন্য জোর দাবী জানিয়েছে অত্র এলাকার সচেতন সমাজ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-