রতন কান্তি দে •
উখিয়ায় বনবিভাগের জায়গায় বনাঞ্চল ধ্বংস ও পাহাড় কর্তন করে অসংখ্য বহুতল ভবণ নির্মাণ করছে পাহাড় খেকো ভুমি দস্যুরা।
জানা যায়, উখিয়া সদর ও ওয়ালা বিটের আওয়াতাধীন কক্সবাজার-টেকনাফ প্রধান সড়কের নিউ ফরেস্ট অফিস থেকে শুরু করে কুতুপালং টিভি টাওয়ার পর্যন্ত রাস্তার দু-পাশে অর্ধশতাধিক একর বনভূমি দখল করে নিজেদের ইচ্ছা মতো এসব ভবন নির্মাণ করে যাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা।
সরেজমিনে দেখা যায় , এসব দখলের নৈপথ্যে রয়েছে হাঙ্গরগোনা এলাকার রনধীর বড়ুয়ার ছেলে কল্পনা বড়ুয়া, পল্টু বড়ুয়া,জামাই মিন্টু বড়ুয়া, কুতুপালং হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকার মোহাম্মদ হোসনের ছেলে আব্দু রহিম বনবিভাগের রোপণকৃত চারা গাছ কর্তন করে পাহাড় খেটে রাতের আধারে মাটি বিক্রিয়ের হিড়িক জমিয়েছে। এসবের কারণে অই এলাকার পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আনন্দলোন (বাপা) উখিয়া শাখা সাধারণ সম্পাদক জসিম আজাদ জানান, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করতে বনবিভাগকে আরো কঠোর হতে হবে। উখিয়ায় একদিকে রোহিঙ্গাদের তান্ডবে শত শত একর জমির বনাঞ্চল উজাড় ও পাহাড় কেটে সাবাড় করা হয়েছে। এতে তাদের ঘনবসতিতে পরিবেশ মারাত্মকভাবে ভারসাম্য হারাচ্ছে। অন্যদিকে স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা রাতারাতি পাহাড় কেটে বনাঞ্চল উজাড় করে বনবিভাগের জায়গাগুলো দখল নিয়ে ভবন নির্মাণ করতেছে। তাই বাপা’র পক্ষ থেকে বনবিভাগকে আরো শক্ত ও কঠোর হতে দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে উখিয়া বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী শফিউল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,মাঠে সার্বক্ষণিক বনবিভাগের কর্মকর্তারা রয়েছেন প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষার্থে নিয়মিত অভিযানের ন্যায় উখিয়ায় বনবিভাগের জায়গা দখল মুক্ত, পাহাড় কাটা,বনাঞ্চল রক্ষা করতে যে সকল প্রক্রিয়া রয়েছে তা বাস্তবায়নে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি এবং কেউ অবৈধভাবে এসব জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করলে অভিযানের মাধ্যমে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে পাশাপাশি জড়িত সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা সরোওয়ার আলম, এ প্রসঙ্গে জানান বনভুমি অবৈধ দখলদারি ও পাহাড় নিধনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-