কক্সবাজার প্রতিনিধি :
ঈদের দিনেই স্থানীয় ও পর্যটকদের উপস্থিতিতে মুখর কক্সবাজারের সুগন্ধা ও ইনানী বিচ। একইসঙ্গে অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে এবার ঈদের সরকারি ছুটিতে কক্সবাজারে কয়েক লাখ পর্যটকের সমাগম হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুখিম খান সমুদ্র জানান, মঙ্গলবার (৩ মে) বেলা ১১টার পর থেকে সমুদ্রসৈকতে আসতে শুরু করেছেন পর্যটকরা। দুপুরের দিকে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ে। বিকালের দিকে আরও বেড়েছে।
তিনি জানান, ঈদে সৈকতে ঘুরে বেড়ানো দর্শনার্থীদের অধিকাংশই স্থানীয়। তারা ঈদের ছুটিতে মনের সুখে বেড়াতে ছুটে আসেন সৈকতে। আগামীকাল থেকে দূরদূরান্তের পর্যটকদের সমাগম ঘটবে।
কক্সবাজার লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ী সমিতির নেতা হাবিবুর রহমান জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো চাঙা হয়ে উঠেছে। আজকে ঈদের দিনে কিছুটা ব্যবসা হয়েছে। আগামীকাল থেকে আরও জমে উঠবে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ঈদের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজারে বিপুল সংখ্যক পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে হোটেল কক্ষ বুকিংয়ে বেশ সাড়া মিলেছে।
প্রতিটি হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছে। এরমধ্যে তারকা মানের হোটেলগুলোতে বুকিং বেশি হয়েছে।
এদিকে, সম্প্রতি কক্সবাজারে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সৈকতসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বলেন, ‘পর্যটকদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শতভাগ নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে রাতদিন টহলে থাকবে ট্যুরিস্ট পুলিশ।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ঈদের পরের সাত দিন পর্যন্ত কক্সবাজার জেলাজুড়ে পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার থাকবে।’
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, ‘পর্যটকদের নিরাপত্তা ও স্বাচ্ছন্দ্যে বিচরণসহ সার্বিক বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হয়েছে। কোনোভাবে যাতে সমস্যা না হয়; সে জন্য বিশেষ নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-