নিজস্ব প্রতিবেদক •
টেকনাফে মসজিদ কমিটিতে পদ না পেয়ে খতিবকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। খতিবকে মারধরের ভিডিও ধারণ করায় সাইদুল ফরহাদ নামে এক সাংবাদিককেও মারধর করেছে অভিযুক্তরা।
রোববার (২৩ মে) সন্ধ্যায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের আল মাদ্রাসাতুল মুহিউচ্ছুন্নাহ মসজিদে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী মসজিদের খতিব ওই মাদ্রাসার পরিচালকের দায়িত্বও পালন করছেন।
জসিম উদ্দিন জানান, স্থানীয় আবু তৈয়ব নামে এক ব্যক্তি প্রতিদিন মসজিদের এসে তাকে হেয় করে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষাায় গালি গালাজ করে। কিন্তু আবু তৈয়ব মসজিদ কমিটির কেউ নই।
তিনি আরও জানান, রোজায় তারাবির নামাজ পড়ানোর জন্য মসজিদে হাফেজ ফয়সালকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই নিয়োগকে কেন্দ্র করে আবু তৈয়ব ক্ষিপ্ত ছিলেন খতিব জসিমের উপর।
এছাড়াও শুরু থেকে আবু তৈয়ব হাফেজ ফায়সালকে বিভিন্ন ধরনের কটাক্ষ করে কথাবার্তা বলেন। হাফেজ ফায়সাল ওই বিষয়টি তাকে (জসিম উদ্দিন) অবগত করলে তিনি মসজিদ কমিটি বরাবর জানান। পরে মসজিদ কমিটি আবু তৈয়বকে সর্তক করায় আবু তৈয়ব তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার নামাজ শেষে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে তাকে (জসিম উদ্দিন) মারধর করে।
উনছিপ্রাং মাদ্রাসাতুল ইসলামিয়া মুহিউচ্ছুন্নাহ মসজিদেও মুতুয়াল্লি (দাতা সদস্য) রুহুল আমিন বলেন, আবু তৈয়ব দীর্ঘদিন ধরে মসজিদ কমিটিতে পদের জন্য বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। সর্বশেষ মসজিদ কমিটির পথ না পেয়ে মসজিদের দায়িত্বরত খতিব ও মাদ্রাসার পরিচালক জসিম উদ্দিনকে শত শত মুসল্লীর সামনে তার অফিস থেকে গলা ধরে বের করে মারধর করেন।
এদিকে খতিব জসিম উদ্দিনকে মারধরের ঘটনার সময় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা সংবাদকর্মী সাইদুল ফরহাদ ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকেও মারধর করা হয়। সাইদুল ফরহাদ ঢাকা পোষ্টের জেলা প্রতিনিধি।
আবু তৈয়বের নেতৃতে আকতার হোসেন, মোহাম্মদ নূর, রমজান আলী, মুফিজুর রহমান, মৌলভী ছৈয়দসহ বেশ কয়েকজন ওই সংবাদকর্মীকে মারধর করে। এসময় সংবাদকর্মী ফরহাদের কাছে থাকা দুটি মোবাইল কেড়ে নেয় এবং ছুরিকাঘাত করে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন ওই সংবাদকর্মী।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-