কক্সবাজার জার্নাল স্পোর্টস ডেস্কঃ জয়ের জন্য শেষ ৪ বলে দরকার ১৫ রান। নিঃসন্দেহে কঠিন সমীকরণ। স্ট্রাইকে এমন একজন, ম্যাচের প্রথম ভাগে বোলিংয়ে যিনি ছিলেন ভীষণ খরুচে। সেই রশিদ খান ব্যাট হাতে দেখালেন চমক। ৪ বলে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে এনে দিলেন রোমাঞ্চকর জয়
আইপিএলে বুধবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে রশিদ সাত নম্বরে যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ১৯৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শেষ ৪ ওভারে গুজরাট টাইটান্সের দরকার ছিল ৫৬ রান। রাহুল তেওয়াতিয়ার সঙ্গে রশিদের ২৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৯ রানের বিস্ফোরক জুটিতে শেষ বলে গুজরাট জিতে যায় ৫ উইকেটে।
বোলিংয়ে ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকায় ম্যাচের প্রথম ভাগে রশিদ ছিলেন আলোচনায়। ম্যাচ শেষেও আলোচনার কেন্দ্রে তিনি। তবে এবার বীরোচিত ব্যাটিংয়ের জন্য। ১১ বলে ৪ ছক্কায় ৩১ রানের ইনিংসে ব্যবধান গড়ে দেন তিনি। ২১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান করেন তেওয়াতিয়া।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শেষ ২ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ৩৫ রান। ১৯তম ওভারে থাঙ্গারাসু নাটরাজনকে একটি করে চার-ছক্কা মারেন তেওয়াতিয়া, আসে ১৩ রান।
শেষ ওভারে চাই ২২। দক্ষিণ আফ্রিকান পেসার মার্কো ইয়ানসেনের প্রথম বলে ছক্কা হাঁকানোর পর সিঙ্গেল নিয়ে ব্যবধান কমান তেওয়াতিয়া। স্ট্রাইকে যান রশিদ। তৃতীয় বল বোলারের মাথার ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ান তিনি। পরের বলে অবশ্য ব্যাট ছোঁয়াতে পারেননি।
২ বলে দরকার ৯। পঞ্চম বল নিচু ফুলটস পেয়ে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে ছক্কা মারেন রশিদ। আর শেষ বলে ফাইন লেগের ওপর দিয়ে আরেকটি ছক্কা মেরে জয়ের উল্লাসে মাতেন তিনি।
রান তাড়ায় ঋদ্ধিমান সাহা ৩৮ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেলেও শুবমান গিল, হার্দিক পান্ডিয়া, ডেভিড মিলাররা পারেননি কিছু করে দেখাতে। গতির ঝড় তুলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়ে হায়দরাবাদকে জয়ের ভিত গড়ে দেন উমরান মালিক। কিন্তু তাদের মুঠো থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন রশিদ ও তেওয়াতিয়া।
মজার ব্যাপার, আগে ব্যাটিংয়ে শেষ ওভারে ৪ ছক্কায় ২৫ রান তুলেছিল হায়দরাবাদ। একইভাবে রান তাড়ায় শেষ ওভারে ৪ ছক্কায় ঠিক ২৫ রান নিয়েই জিতল গুজরাট!
২৫ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন অবশ্য কাশ্মীরের ফাস্ট বোলার উমরান মালিক।
সুত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-