আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল •
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কঠোরভাবে দুষ্কৃতকারীদের দমন করা হচ্ছে বলে জানান ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) কমান্ডিং অফিসার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) উখিয়ার রাজাপালংয়ের অস্থায়ী সদর দপ্তরে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে এপ্রিল ২০২২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ৭৭৮ জন সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। মামলা রুজু করা হয় ২৮০ টি। ইয়াবা ট্যাবলেট ১৫ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৮২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, মদ ১১ লিটার বিয়ার ৯০ ক্যান ও গাঁজা ৯৪১ গ্রাম জব্দ করে এপিবিএন পুলিশ।
এছাড়াও দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ১২ টি বিদেশি পিস্তল ১ টি গুলি ৪০ রাউন্ড শটগানের কার্তুজ ৮ রাউন্ড দেশীয় বিভিন্ন প্রকার দেশীয় তৈরি অস্ত্র ১৯১ টি উদ্ধার করা হয়। স্বর্ণালংকারের মধ্যে ৯১ ভরি ১৫ আনা, বাংলাদেশি নগদ টাকা ৬৫ লক্ষ ১৪ হাজার ও মিয়ানমারের মুদ্রা ৩ লাখ ৩৫ হাজার বাংলাদেশ জাল টাকা ৮১ হাজার টাকা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয়।
এপিবিএন কমান্ডিং অফিসার আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রিত। বাংলাদেশের আইনবিরোধী কর্মকান্ড লিপ্ত হয়ে ক্যাম্পের পরিস্থিতি অস্থির করা চেষ্টা করলে কঠোরভাবে দমন করা হবে।
ইফতারের পূর্বে গত এক বছরের সফলতা গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে উপস্থাপন করেন ৮এপিবিএন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো.কামরান হোসেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ৮এপিবিএন ট্রানজিট ক্যাম্প, কুতুপালং এবং কক্সবাজার বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। ৫টি পুলিশ ক্যাম্পের মাধ্যমে ৮এপিবিএন ১১টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে। আরও দুইটি পুলিশ ক্যাম্প নির্মাণাধীন রয়েছে যেগুলোর মাধ্যমে আরও নিবিড়ভাবে নিরাপত্তা প্রদান এবং পুলিশিং কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ৮এপিবিএন’র স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থার উদ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছে। এ ব্যবস্থায় ৮ এপিবিএন’র আওতাধীন ৭৭৩টি সাব-ব্লকের ৫ জন করে ৩হাজার ৮শ ৬৫জন স্বেচ্ছাসেবক প্রতি রাতে নিজ নিজ সাব-ব্লকে পাহারা দিয়ে দায়িত্বরত পুলিশকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সহায়তা করে থাকে।
৮ এপিবিএন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার খান’র দক্ষ ও গতিশীল নেতৃত্বে অত্র ব্যাটালিয়ন এর প্রত্যেক অফিসার-ফোর্স দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং ৮ এপিবিএন ক্যাম্পে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে স্বচ্ছতার সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে আসছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ফলে বর্তমানে অপরাধ শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে।”
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-