সরকারি নিয়মে ৭০ লাখ টাকার সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদার নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক •

টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের সরকারি নিয়মে সত্তর লাখ টাকার (সেতু-কালর্ভাট) একটি দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

১৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে ঠিকাদারের উপস্থিতে মূল্যায়ন কমিটির কর্মকর্তারা নিয়ম অনুসারে এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।

এর আগে ১৭ মার্চ পরিষদের নোটিশ বোর্ডসহ অফিসিয়ালি ফেসবুক ফেইজে উক্ত দরপত্রের আহবান জানান কতৃপক্ষ। ফলে দরপত্র নিয়ে যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। মূলত সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি চক্র কর্মকর্তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

পিআইও কার্যালয় জানায়, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি আওতায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মান প্রকল্পের সত্তর লাখ টাকার একটি দরপত্রে আহবান জানানো হয় গত ১৭ মার্চ। এতে কক্সবাজার ও টেকনাফের ৬৯ টি ঠিকাদার প্রতিষ্টান দরপত্রে অংশে নেয়। দরপত্রে ১৯ মার্চ সকাল ১০ টায় কার্যালয়ে ঠিকাদারদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এর অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় পরিষদ কার্যালয়ে উপস্থিতি ঠিকাদারের সামনে লটারির মাধ্যমে দরপত্রে কার্যক্রম শুরু করে মূল্যায়ন কমিটি। এতে নিয়ম অনুসারে দরপত্রটি পান মেসার্স আল্লাহ দান এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু একটি চক্র সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দরপত্রের কারসাজির অভিযোগ তুলেন। যেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

এ দরপত্রে কার্যক্রম সময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম, মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু, সদস্য সচিব উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সিফাত বিন রহমান ও চীন ময় বড়ুয়া মানস’সহ অনেকে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কায়সার খসরু জানান, ‘নিয়ম অনুসারে উপস্থিতি ঠিকাদারের সামনে দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। সেখান থেকে ঠিকাদারকে বের করে দেওয়ার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারন সরকারি নিয়মে, আগে থেকে এ দরপত্রে অংশ নিতে আহবান জানানো হয়েছিল।’

দরপত্রে বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সিফাত বিন রহমান বলেন, ‘সরকারি নিয়মে মূল্যায়ন কমিটির মাধ্যমে সেতু-কালর্ভাট নির্মান প্রকল্পের ঠিকাদার নির্বাচিত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে একার কারো পক্ষে দরপত্র সম্পন্ন করা সম্ভব না। মূলত একটি চক্র কাজ না পাওয়ায় ক্ষোভ থেকে, মিথ্যা দিয়ে এ গুজব ছড়ানো হয়েছে।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আলম জানান, ‘সরকারি নিয়ম মেনে ঠিকাদারসহ সংশ্লিষ্ট সবার উপস্থিতে এ দরপত্রের কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এখানে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।’

আরও খবর