আলোর মুখ দেখেনি কক্সবাজার শিশুপার্ক: ফাইলবন্দি নির্মাণ প্রকল্প

মাহাবুবুর রহমান •

আলোর মুখ দেখেনি কক্সবাজার শিশুপার্ক নির্মাণ কাজ। এখনো ফাইল বন্দি হয়ে আছে জেলাবাসীর এই প্রাণের দাবীটি। আদৌ পূর্ণতা পাবে কিনা সেটা নিয়েও আছে যথেস্ট সংশয়।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২০১৮ সালের ১ জুন শহরের বিয়াম ফাউন্ডেশন সংলগ্ন মাঠে সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হলেও এখনো কাজের তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। দ্রুত কক্সবাজারের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে একটি পূর্ণাঙ্গ শিশু পার্ক নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবী জেলার সর্বস্তরের মানুষের।

‘কক্সবাজার‘ দেশের পর্যটন জেলা। বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত এই কক্সবাজারে তাই বিশ্ববাসী এই জেলাকে খুবই সমাদরের চোখে দেখে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এখানে বিনোদনের জন্য সমুদ্র সৈকত ছাড়া আর তেমন আর কিছুই নেই। দীর্ঘদিন ধরে এই জেলার মানুষের প্রাণের দাবী একটি শিশু পার্কের।

কিন্তু বর্তমানে কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়ন যজ্ঞের আড়ালে যেন হারিয়ে যেতে বসেছে সেই শিশু পার্কের দাবীটি। ২০১৮ সালের ১ জুন কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিক ভাবে বীচের পাশে আড়াই একর জমিতে শিশু পার্ক নির্মাণের জন্য সাইনবোর্ড স্থাপন করলেও এখনো কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সেই থেকে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে প্রকল্পটি।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে গিয়ে জানা গেছে, জমিটি শিশু পার্কের জন্য অনুমোদন করে পাঠানো হলেও কিছু জটিলতা তৈরি হওয়াতে এখনো বুঝিয়ে দেওয়া যায় নি। এদিকে যদি জেলা প্রশাসন জমি দিতে পারে তাহলে পৌরসভা শিশু পার্কটি উন্নয়ন করবে বলে জানান পৌর পরিষদ।

এ ব্যপারে কক্সবাজার জেলা খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলাতে শিশু পার্ক আছে শুধু পর্যটন নগরী কক্সবাজারে নেই। আমাদের শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য একটি শিশুপার্ক অপরিহার্য, তাই দ্রæত কক্সবাজারে একটি শিশু পার্ক নিমার্ণের দাবী জানান তিনি।

জেলা খেলাঘরের সভাপতি আবুল কাশেম বাবু বলেন, বিভিন্ন সভা সেমিনারে আমরা শিশুদের জন্য অনেক কথা বলি, তাদের জন্য সবাই অনেক মায়া কান্না করি। কিন্তু সেই সভা থেকে বের হয়ে সবাই সব কথা ভুলে যায়। শিশু পার্কের জন্য আমরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। কিন্তু সব সরকারি জমি বরাদ্ধ পাচ্ছে অন্যরা। তাহলে কক্সবাজারের মানুষের জন্যকি কোন জমি নাই? আসলে আমরা বড়ই অভাগা, জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিতে পারে এমন কোন নেতা আমাদের নাই।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও বাংলাদেশ ভলিবল ফেডারেশনের সদস্য আমিনুল ইসলাম মুকুল বলেন, কিছুদিন আগে চাঁদপুর গিয়েছিলাম সেখানেও দেখেছি অনেক সুন্দর শিশু পার্ক আছে। এমনকি সেখানে পাশের উপজেলাতেও শিশু পার্ক আছে কিন্তু আমাদের কক্সবাজারে একটি শিশু পার্ক নাই এটা খুবই দুঃখজনক। বিয়াম ফাউন্ডেশনের পাশে সেই জমিটিতে দ্রুত একটি শিশু পার্ক গড়ে তোলা জরুরী।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ রমজান আলী বলেন, আমরা ও ছেলে মেয়ের পিতা সত্যি কথা বলতে একটি শিশু পার্কের জন্য আমরাও ফিল করি। তাই আর কাল বিলম্ব না করে জরুরী ভিত্তিতে একটি শিশু পার্ক গড়ে তোলা দরকার।

আরও খবর