কক্সবাজারে মাংস ও সয়াবিনের দাম আকাশচুম্বী

সৈয়দুল কাদের •

ফাইল ছবি

কক্সবাজার শহরে বিভিন্ন বাজারে গরুর মাংশের দাম শুনে অবাক হচ্ছেন ক্রেতারা। সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে প্রতি কেজিতে ১০০/১৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে মাংশ।

আরো এক দফা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম। একই ভাবে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে দেশী মুরগী।

বাজারে এসেই হতাশ হয়ে পড়ছে ক্রেতারা। সয়াবিন ও মাংসের দাম আকাশ চুম্বি। শহরের বাহারছাড়া বাজারে গিয়ে দেখা যায় গরুর মাংশ হাঁড়সহ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা। হাঁড় ছাড়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা। প্রতিনিয়ত বাজার তদারক করা হলেও যতক্ষণ ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত থাকে ততক্ষণ সরকার নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি হয়। ভ্রাম্যমান আদালত চলে আসলে তাদের নির্ধারিত বাড়তি দামে পণ্য বিক্রি করেন ব্যবসায়িরা। গরুর মাংশ ছাড়াও খাসির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০-৯৫০ টাকা দরে। অনেকেই দাম শুনে হতবাক হচ্ছেন।

ব্যবসায়িরা কেন সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করছে না জানতে চাইলে বলা হয় ওই দরে বিক্রি করলে লোকসান হবে।

এমনটি দাবি করেছেন ব্যবসায়ি মমতাজ আহমদও। তিনি বলেন আমরা পুঁজি বিনিয়োগ করে ব্যবসা করছি। লোকসান হয় এভাবে বিক্রি করা যাবে না। নির্ধারণ করে দিলেই সব হয়ে যাবে এমনটি নয়। এছাড়া দেশী মুরগী বিক্রি হচ্ছে উচ্চ মূল্যে।

ক্রেতাদের অনেকেই জানালেন এই দরে ক্রয় করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। একটি বড় মোরগ নিতে গেলে হাজার টাকার প্রয়োজন। যা আমাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ক্রেতা বাহারছড়ার বাসিন্দা দুলাল মিয়া জানিয়েছেন, রমজানের শুরু থেকে বয়লার মুরগী ছাড়া অন্য মাংশ খেতে পারিনি। বাজারে গেলে দাম শুনলে আবাক হতে হয়। আমরা যারা মধ্যবিত্ত আছি তারা কিভাবে সংসার চালাচ্ছি তা কেউ জানে না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফ হোসেন জানান, মাংশের এমন দাম অবিশ্বাস্য উর্ধবগতি কোন সময় দেখিনি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিনিয়ত তদারক করা হচ্ছে।

বাড়তি দামে যারা পণ্য বিক্রি করছেন তাদের শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে। তারপরও সরকার নির্ধারিত দরের চাইতে বেশী দরে বিক্রি হচ্ছে পণ্য। এদিকে দফায় দফায় বাড়ছে সয়াবিন তেলের দাম।

বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে তেলের সংকট। প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৭০-৭৫ টাকা দরে। কিছু এলাকায় ১৮০ টাকা প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। পণ্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি এন্টার প্রাইজের মালিক সনজিত বৈদ্য জানিয়েছেন প্রতিটি পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে সয়াবিন আর চিনি ছাড়া। কেন বাড়ছে তাও বলা যাচ্ছে না। এখন সয়াবিন এর লিটার বোতল সংকট সৃষ্টি হয়েছে। পাইকারি বাজারেও পাওয়া যাচ্ছে না। সংকট হওয়ায় এক বাজার থেকে অন্য বাজারে ঘুরেও কোথাও স্বস্তি পাইনি বাজারে আসা লোকজন। তাই সরকার মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও ওই মূল্যে মাংস ক্রয় করতে পারেনি ক্রেতারা। যার ফলে রোজায় বাজার করতে এসে হতাশ হয়ে ফিরছেন অনেক ক্রেতা।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানিয়েছেন প্রতিদিন জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম বাজার তদারকিতে কাজ করছে। যারা বাড়তি দামে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও খবর