কোটবাজারে প্রকাশ্যে ব্যবসায়ীর উপর হামলা করে পালালো সন্ত্রাসী!

নিজস্ব প্রতিবেদক •

উখিয়ার ব্যস্ততম স্টেশন কোটবাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দোকান মালিক সমবায় সমিতির নির্বাহী সদস্য ও চৌধুরী মার্কেটের পোষাক বাড়ি গার্মেন্টসের সত্বাধিকারী মোঃ হাসেমের উপর সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। এসময় ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবু ছিদ্দিক সওদাগরকেও গলায় ছুরি ধরে পরে ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, সন্ধ্যায় মালামাল রাখার বিষয় নিয়ে কোটবাজার চৌধুরী মার্কেটের দোকানদার মেহেদী ও ভাই ভাই সু স্টোরের আলী হোসাইন নামের এক জুতা ব্যবসায়ীর কর্মচারী রুবেলের সাথে বাকতিবন্ডা হয়। এসময় বিষয়টি কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমানের নজরে আসলে তিনি সমাধানের জন্য কথা বলতে গেলে আলী হোসাইনের কর্মচারী রুবেল সম্পাদকের সাথে দুর্ব্যবহার করে বসে। পরে তিনি কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি খুরশেদ আলম বাবুলসহ গেলে কর্মচারী ছেলেটি তার উপরও তেড়ে আসে। এ নিয়ে মার্কেটে থমথমে পরিবেশ সৃষ্টি হলে ব্যবসায়ীরা এর একটি তাৎক্ষনিক সমাধান দেন। কিন্তু পরবর্তীতে আলী হোসাইনের দোকানের কর্মচারী সবার অগোচরে কোনো এক নেতার ইন্ধন পেয়ে ফোনে কথা কিছু সন্ত্রাসী বাজারে নিয়ে আসে এবং হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ঘটনার হামলাকারী যুবক, পাইন্যাশিয়া এলাকার ফরিদ (প্রকাশ তেলী ফরিদের) ছেলে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে তাৎক্ষনিক কোটবাজার দোকান মালিক সমবায় সমিতির ডাকে সকল ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ করে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদে জড়ো হন।

পরবর্তীতে সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সাবেক উখিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, হামলাকারী সন্ত্রাসীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ব্যবসায়ীদের মাঝে ধরে আনবেন এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইফতারের আগ পর্যন্ত সময় নেন এবং ব্যবসায়ীদের শান্তি-শৃঙ্খল বজায় রাখার আহ্বান জানান।

এসময় ব্যবসায়ি নেতৃবৃন্দরা হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়ে প্রতিবাদ সভা বন্ধ করে দেন।

এ ঘটনায় উখিয়া থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এদিকে খবর নিয়ে জানা যায়, ভাই ভাই সু স্টোরের মালিক আলী হোসাইনের বিরুদ্ধে ইয়াবা সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আছে। এর আগেও তার দোকানের এক কর্মচারী তার দোকানে কর্মরত অবস্থায় ইয়াবা নিয়ে জেলে গেলে তাকে জেল থেকে বের করে আবারো দোকানে রেখেছে এবং তার চেনা ইয়াবার অলিগলি আবারও ইয়াবা পাচার করাচ্ছে বলে জানা গেছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে কোটবাজার, মরিচ্যা এলাকায় একাধিক দোকানের মালিক বনে গেছে সে।

আরও খবর