একটি সাজনো মামলায় কারাগারে

‘জনপ্রিয়তাই কাল হলো মেম্বার মনজুরে’র’


বিশেষ প্রতিবেদক •

‘জনপ্রিয়তাই কাল হয়েছে আমার জন্য’ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপ ও এলাকার একটি অপশক্তি সিন্ডিকেট এক হয়ে একজন নারীকে ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে সাজানো নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছে। আমি মনজুর আলম মেম্বার হলফ করে বলতে পারি, কোন ভাবেই এই ধরণের ঘটনার সাথে জড়িত নয়। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।

গতকাল বুধবার কারাগারে যাওয়ার আগে কক্সবাজার কোর্ট সেলে সাংবাদিকদের এই কথা বলেন উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের দুইবারের জনপ্রিয় মেম্বার এম. মনজুর আলম।

তিনি বলেন, এর বিচার আল্লাহকে দিলাম। আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। আমার বিশ্বাস এই মিথ্যা মামলা থেকে আমি সহসাই মুক্তি পাব। এই সব মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার জনপ্রিয়তা কেউ রুখতে পারবে না ইনশাল্লাহ। তিনি তাঁর কর্মী সমর্থকদের ধৈর্য ধরার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, যতই মামলা হামলা হউক, ওই অপশক্তির সাথে কোন ভাবেই আপোষ করব না। এলাকায় কেউ অন্যায় করলে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান অব্যাহত থাকবে বলে হুঁশিয়ারি দেন।

মেম্বার মনজুর আলমের বড় ভাই কুয়েত প্রবাসী মোজাফর আহমদ দাবি করেন, বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমার ছোট ভাই মনজুর আলম বিপুল ভোটে ইউপি মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ১নং ওয়ার্ড তথা হলদিয়া পালং ইউনিয়ন এলাকার সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
কিন্তু মনজুর মেম্বারের জনপ্রিয়তা, এলাকার প্রতি তার দরদ ও ভালোবাসা এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি কুচক্রি মহল তার চরিত্রে কালিমালেপন ও পরিবারের সম্মান, ঐতিহ্য ক্ষুন্ন এবং সম্মানহানি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। তারই ধারাবাহিকতায় একজন দুশ্চরিত্রা ও লোভী মহিলাকে ব্যবহার করে আমার জনপ্রতিনিধি ছোট ভাই মনজুর মেম্বার ও আমার বাবা শামশুল আলমের মিথ্যা, বানোয়াট ‘ধর্ষণ’ মামলা দায়ের করিয়েছে।
আমার ভাইয়ের ওই মহিলার সাথে কখনোই কোন সম্পর্ক ছিল না। অথচ দুশ্চরিত্রা ওই মহিলা তাকে আমার ভাই বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে- এমন ভিত্তিহীন ও বানোয়াট অভিযোগ তুলে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। গত ২০ জানুয়ারি উখিয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড হয়।

তিনি আরও দাবি করেন, বিগত নির্বাচনের আমার ভাইয়ের প্রতিপক্ষ গ্রুপ, একটি প্রভাবশালী মহল হীন উদ্দেশ্যে ওই মহিলাকে ব্যবহার করে আমার ভাই ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের সম্মানহানি করার কুমানসে পরিকল্পিত ভাবে ওই ধর্ষণ মামলা দায়ের করিয়েছে। যার সাথে আমার ভাই ও আমাদের পরিবারের দূরতম সম্পর্কও নাই।

তিনি এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা থেকে জনপ্রিয় ইউপি সদস্য মনজুর আলমকে অব্যাহতি দেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন প্রয়োগকারি সংস্থার কাছে বিনীত ভাবে আবেদন জানান। একই সাথে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে মিথ্যা মামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আহবান জানান।

প্রসঙ্গতঃ বুধবার নারী এনজিও কর্মীকে ধর্ষণ ও ভ্রুন হত্যা মামলায় হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম মঞ্জুর আলমকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আরও খবর