মুহিবুল্লাহ মুহিব •
পবিত্র রমজান ও ঈদকে সামনে রেখে অপরাধীরা যাতে কোনো অপতৎপরতা চালাতে না পারে সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হচ্ছে পর্যটন নগরী কক্সবাজার শহরজুড়ে।
আগামী ১৫ রমজান থেকে পুলিশের এ বিশেষ তৎপরতা শুরু করবে জেলা পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট। থাকবে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ও সাদা পোশাকধারী পুলিশও। এসব ইউনিটের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পাবে এলাকা ভিত্তিক কিশোর গ্যাংয়ের তৎপরতা ঠেকানো।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে- সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ভেজাল কার্যক্রমসহ যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে সিনিয়র অফিসারদের সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। ঈদ উৎসবের আগে-পরের কয়েক দিন পর্যন্ত শহরের ব্যস্ত সড়ক, মোড় ও মার্কেটে নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলা হচ্ছে ১৫ রমজান থেকে। প্রতি বছর এ সময় ছিনতাইকারী ও টানাবাজদের আনাগোনা বাড়ে ঈদ বাজারে। এরা বিভিন্ন দোকানে খরিদ্দার সেজে প্রকৃত খরিদ্দারের পাশে বসে।
নানা কৌশল অবলম্বন করে ছিনিয়ে নেয় স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা। এরা দোকানিদের ড্রয়ার থেকেও টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ গেল ঈদবাজারেও পেয়েছিল পুলিশ। তবে এবার এসব ঠেকাতে বাড়তি সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে কক্সবাজার শহরের বড়বাজার এলাকার বাজার মনিটরিংয়ে গিয়েছিলেন জেলার শীর্ষ দুই কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান।
পুলিশ সুপার মোঃ হাসানুজ্জামান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এবারের ঈদবাজারে কোন অপরাধ বরদাস্ত করবে না পুলিশ।
তিনি জানান, অন্যান্য সময়ের তুলনায় ঈদের আগে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে প্রতি বছরই। ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন মার্কেট আসা ক্রেতা, পথচারী শিকার হন অপরাধী ও অসাধু চক্রের। তবে এবার এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই কঠোর সতর্ক অবস্থায় থেকে নিরাপত্তাবলয়ের মধ্যে নিয়ে এসেছে পুলিশ। আশা করছি নিজেদের মতো করে ঈদবাজারের আসতে পারবে সাধারন মানুষ।
জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে অতিরিক্ত ফোর্স ঈদ মাকের্ট, ব্যস্ত মোড়সহ চিহ্নিত বিভিন্ন স্পটে নিয়োজিত করা হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি টহল দিবে র্যাবও। চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী, পকেটমারদের প্রতি কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। রমজান ও ঈদ বাজারে অপরাধীরা যাতে কোনো অপরাধমূলক কর্মকান্ড না চালাতে পারে সেজন্য ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা কয়েক ধাপে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হচ্ছে।
কিশোর গ্যাংয়ের ব্যাপারে এলাকাভিত্তিক তথ্য নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, রমজান এসেছে আত্মশুদ্ধির জন্য। নিজেকে পরিবর্তন করতে পারাটাই রমজানের সার্থকতা। কিশোর গ্যাংয়ের ব্যাপারে এলাকাভিত্তিক তথ্য নেওয়া হচ্ছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। এ জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা দরকার।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে একাত্বতা প্রকাশ করেন জেলা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ।
এসময় দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি ও পৌর প্যানেল মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, ঈদবাজারে সাধারন মানুষের চলাচল বাড়ে। বাজার করার জন্য মানুষ নগদ অর্থ নিয়ে আসে। সে সুযোগটি কাজে লাগাতে চায় অপরাধী চক্র। এবার এসব চক্রের সদস্যদের ব্যাপারে আগাম সতর্কতা দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
বিশেষ করে এসময় রোমিও বা কিশোর গ্যাং এর আধিপত্যটা বেশী থাকে। সে সুবাদে পুলিশ সুপার মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি ১৫ রমজান থেকে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-