নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে গোসল করতে নেমে বেখায়ালিপনায় ঢেউয়ের স্রোতে ভেসে যান অনেক পর্যটক। মাইকিং করেও পর্যটকদের সচেতন করা যাচ্ছে না। তাই এবার মহড়ার মাধ্যমে পর্যটকদের বিপদাপন্নতা ও বালিয়াড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (১২ মার্চ) বিকেলে সিগাল পয়েন্টে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়।
মহড়ায় দেখানো হয়, সাগরে গোসল করতে নামে এক পর্যটক। হঠাৎ করেই স্রোতের টানে ভেসে যাচ্ছিলো সেই পর্যটক। তাৎক্ষনিক দায়িত্বরত লাইফ গার্ড কর্মীরা তাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আনে। তারপর বালুচরেই দেওয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসা।
এমন দৃশ্য হরহামেশাই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দেখা যায়। নিত্যদিনের দুর্ঘটনার ছবিই ফুটিয়ে তোলে লাইফগার্ড কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে এসে অসতর্কতার জন্য প্রায়শই পানিতে ডুবে দুর্ঘটনার শিকার হওয়া পর্যটকদের সচেতন করতেই এ আয়োজন বলে জানালেন, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ এর সিসেইফ প্রজেক্টের এর যৌথ উদ্যোগে সমুদ্র সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে পানিতে ডুবা প্রতিরোধ ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠানে লাইফ গার্ড প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রশিক্ষণ ও মহড়া হয়।
ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক আলোচনায় জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, শুধুমাত্র কয়েকজন লাইফ গার্ড কর্মী নিয়ে পানিতে ডোবা প্রতিরোধ করা সম্ভব না, বেড়াতে আসা সব পর্যটকদের সচেতন হতে হবে।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান এবং সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশের ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ড. আমিনুর রহমান।
মহড়াকালে উপস্থিত ছিলেন, পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম, কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায়, টুয়াক সভাপতি রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্টরা। পরে সি সেইফ লাইফ গার্ডের ইউনিফর্মের উন্মোচন করা হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-