ওমর ফারুক হিরু •
পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ অন্তত ১৩ থেকে ১৪ বার সফরে এসেছেন। ওই সময় বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নির্দেশনায় আজকের সমুদ্রের সৈকতের মনমুগ্ধকর ঝাউবাগান। কিন্তু দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকের এই শহরে বঙ্গবন্ধুর কোন ভাস্কর্য নেই।
এদিকে কক্সবাজারের প্রবেশমুখ কলাতলীতে পরিত্যক্ত হাঙ্গর চত্তর সরিয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের কথা থাকলেও তারও কোন অগ্রগতি নেই। দীর্ঘ ৫০ বছরেও বঙ্গবন্ধুর কোন ভাস্কর্য না থাকাকে অবহেলা ও ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন স্বাধীনতার চেতনা লালন করা শহরবাসী।
কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা গবেষণাগার সহ একাধিক সূত্রে জানা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৮ সালে সর্বপ্রথম কক্সবাজার সফর করে এবং সর্বশেষ সফর করেন ১৯৭৫ সালের ১০ জানুয়ারী।
তিনি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত ১০০ একর ঝাউবাগান বনায়নের নির্দেশ দেন বলে জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের প্রধান সহকারী মোঃ শাহ আলম।
এরই মধ্যে তিনি অন্তত ১৩-১৪ বার কক্সবাজার সফর করেন। শহর ছাড়াও ইনানী-সোনাদিয়া সহ বিভিন্ন জায়গায় বঙ্গবন্ধুর পদচারণ ছিল। কিন্তু দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকের এই শহরে দীর্ঘ ৫০ বছরেও নেই বঙ্গবন্ধুর কোন ভাস্কর্য।
এদিকে ২০১০ সালে ঢাকা ব্যাংকের সৌজন্যে শহরের প্রবেশমুখ কলাতলীতে ৩ প্রজাতির হাঙ্গর দিয়ে ‘জ’ ভাষ্কর্য স্থাপন করা হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই পর্যটকের বিরূপ প্রতিক্রিয়া সহ নানা সমালোচনার মুখে পড়ে এই হাঙ্গর চত্তর।
এ নিয়ে বির্তক উঠায় ভাস্কর্যটি সরিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০১৯ সালের এপ্রিলে এর একটি নকশাও প্রকাশ পেয়েছিল গণমাধ্যমে। কিন্তু ওই কাজের কোন অগ্রগতি নেই। এটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন স্বাধীনতার চেতনা লালনকারী তরুণ প্রজন্ম।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-