কক্সবাজারে আ’লীগ নেতাকে জবাই করে হত্যা: তিন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড

ডেস্ক রিপোর্ট •

আওয়ামী লীগ নেতা খুনের মামলায় তিন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড
যুদ্ধপরাধ মামলার বিচারের রায় নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে কক্সবাজারের চকরিয়ায় আপন চাচাকে অপহরণের আধঘণ্টা পর জবাই করে হত্যার দায়ে তিন ভাইয়ের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এসময় আরও একজনকে যাবজ্জীবন ও এক আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোজাম্মেল হক এ রায় দেন।

নিহত নুরুল হুদা বদরখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডিত আসামিরা হলেন- চকরিয়া থানার বদরখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার নুর মোহাম্মদের তিন ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে লম্বা সিদ্দিক, তার ভাই জামায়াত কর্মী ইউনুছ হোসাইন মানিক ও ইব্রাহিম মোস্তাফা আবু কাইয়ুম ওরফে কাইয়ুম। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হলেন একই এলাকার নুরুল আজিজের ছেলে জামায়াত কর্মী মো. সোহায়েত। খালাস পেয়েছেন সাফায়াত। দণ্ডিতদের মধ্যে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক ছাড়া বাকিরা পলাতক।

দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি আইয়ুব খান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল হুদা হত্যা মামলায় তিন ভাইকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। মো. সোহায়েত নামে এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩০ জুন রাতে বদরখালী বাজারের চায়ের দোকানে টিভিতে সংবাদ দেখে দেশে একে একে সব রাজাকারকে ফাঁসিতে ঝোলানো হবে বলে মন্তব্য করেন নুরুল হুদা। মন্তব্য শুনে আসামি আবু বক্কর সিদ্দিক তার সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান। পরে অন্য আসামিদের নিয়ে এসে দোকান থেকে অটোরিকশায় করে তাকে অপহরণের পর জবাই করে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২ জুলাই চকরিয়া থানায় মামলা করেন নিহতের ছেলে মোহাম্মদ শাহজাহান। আদালত ১৩ জনের সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

আরও খবর