মো. বেলাল উদ্দিন •
কক্সবাজার জেলার মোট জনসংখ্যা ২৭ লক্ষ ৮ হাজার ৫৩৮। এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর টিকার আওতাভুক্ত হয়েছেন ১৯ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৩৯ জন। যা মোট জনসংখ্যার ৭৩.১৬ শতাংশ। এরমধ্যে সবাই প্রথম ডোজ নেওয়ার পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১৪ লক্ষ ৮১ হাজার ৭০১ জন এবং বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৪০ হাজার ২০৩ জন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সর্বোচ্চ সদর উপজেলার ৩ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৬৪ জন মানুষ টিকা নিয়েছেন। যা তাঁদের মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ। সবচেয়ে কম টিকা গ্রহণ করেছে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার মানুষ। কুতুবদিয়ায় টিকা নিয়েছেন ১ লক্ষ ৪ হাজার ১২৪ জন। তবে জনসংখ্যার অনুপাতে সর্বোচ্চ রামু উপজেলার ৮১ শতাংশ মানুষ টিকার আওতাভুক্ত হয়েছেন। এক্ষেত্রেও সর্বনি¤œ কুতুবদিয়া। তাঁরা টিকা দিয়েছেন ৬৫ শতাংশ মানুষকে। তাছাড়া দ্বিতীয় স্থানে থাকা পেকুয়া উপজেলা ও উখিয়া উপজেলার টিকা দানের হার ৭৭ শতাংশ।
টেকনাফ ও মহেশখালী স্ব স্ব উপজেলায় ৭১ শতাংশ নাগরিককে টিকার আওতাভুক্ত করতে পেরেছে। চকরিয়া উপজেলায় টিকা গ্রহণ করেছেন ৭০ শতাংশ।
অল্প সময়ে মোট জনসংখ্যার ৮১ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতাভুক্ত করানোটা সকলের সমন্বিতভাবে কাজ করার ফল হিসেবেই দেখছেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা। তিনি জানান, “আমরা কোভিড-১৯ টিকার গুরুত্বটা মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সমন্বয় করে কাজ করেছে। আশা করি শীঘ্রই সকলকে টিকার আওতাভুক্ত করা যাবে।”
স¤প্রতি সরকার নির্দেশিত গণটিকা কার্যক্রমে পেকুয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, “১ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ২৬ ফেব্রæয়ারি ২০২২ পর্যন্ত আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ১ লক্ষ ৫৩ হাজার ৫২৬ জনকে কোভিড-১৯ টিকার আওতাভুক্ত করা।
নির্দিষ্ট সময়ে ১ লক্ষ ৫৩ হাহার ৯৪৪ মানুষকে টিকা দিয়ে আমরা তা ছাড়িয়ে গিয়েছি।” টিকার প্রতি মানুষের উদাসীনতা থাকার পরও অল্প সময়ে কিভাবে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. মুজিবুর বলেন, আমরা ছুটির দিনেও কাজ করেছি। বিভিন্ন এনজিও সংস্থাকে সাথে নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় সচেতনতা সৃষ্টি করে মানুষকে টিকার প্রতি উৎসাহী করেছি। তাছাড়া সরকারের নির্দেশনার আলোকে বেঁধে দেওয়া সময়ের শেষ পর্যায়ে শুক্রবার জুমার নামাজ পরবর্তী টিকা প্রদান ক্যাম্পেইন করেছি। এ প্রকল্পটি বেশ কাজে দিয়েছে।
কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি মানুষকে টিকা দিয়েছি। টিকাদানে এই পর্যন্ত জনসংখ্যা অনুপাতে আমরা চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে আছি। টিকা গ্রহণে উপযোগী জেলার সকল মানুষকে আমরা টিকার আওতাভুক্ত করতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-