‘২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বাসায় রোহিঙ্গাদের ভোটার বানাতেন তিনি’

ডেস্ক রিপোর্ট •

চট্টগ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) জালিয়াতির মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক অস্থায়ী ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁর নাম বয়ান উদ্দিন (২৮)। পুলিশ বলছে, ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইসির আরেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জয়নাল আবেদীনের বাসায় রোহিঙ্গাদের ভোটার বানাতেন বয়ান।

শুক্রবার কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ী এলাকা থেকে বয়ানকে গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রাম পুলিশের উপকমিশনার ফারুক উল হক বলেন, গ্রেপ্তার ইসির কয়েকজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বয়ানের নাম উঠে এসেছে। জবানবন্দিতে বলা হয়, ইসির আরেক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর জয়নাল আবেদীনের সঙ্গে পরিচয় ছিল বয়ানের। ২০১৭ সালে জয়নালের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে অস্থায়ী ভিত্তিতে ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসেবে যোগ দেন বয়ান। তিনি নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৭ এবং স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম-২০১৮ চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন বন্দর, পাহাড়তলী, পাঁচলাইশ, জেলার রাউজান ও সাতকানিয়া উপজেলার ডেটা এন্ট্রি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ফারুক উল হক আরও বলেন, জয়নালের সঙ্গে নগরের লাভলেনে জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আসা–যাওয়া করতেন বয়ান। রোহিঙ্গা দালাল নজিবল্লাহ ও আবসারুল্লাহর মাধ্যমে জয়নালের বাসায় রোহিঙ্গাদের ভোটার করতেন বয়ান। এ জন্য প্রতি সপ্তাহে জয়নাল তাঁকে ২০ হাজার টাকা করে দিতেন। জয়নাল এখন জামিনে আছেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট চট্টগ্রামের পরিদর্শক সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, গ্রেপ্তার বয়ানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে রিমান্ডের আবেদন করা হলে আদালত গতকাল তাঁর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলায় মোট ১৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ছয়জন আসামি আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ২২ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নগরের কোতোয়ালি থানায় এনআইডি জালিয়াতির ঘটনায় মামলা হয়। এর চার দিন আগে লাকী আক্তার নামের এক রোহিঙ্গা নারী চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে স্মার্ট কার্ড তুলতে গিয়ে ধরা পড়েন। এরপর বেরিয়ে আসে ঘুষ দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার ঘটনা।

আরও খবর