কক্সবাজারে মধ্যপ্রাচ্যের আদলে ৪ কোটি টাকায় নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মসজিদ

এ এইচ সেলিম উল্লাহ •

কক্সবাজার শহরের কাছাকাছি এলাকা সদরের পিএমখালীর জুমছড়িতে অত্যন্ত নয়নাভিরাম ও সুন্দরে মনভোলানো একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের ডিজাইন মিশিয়ে আধুনিক নান্দনিক কারুকার্যে অসাধারণ শৈলীতে তৈরি মসজিদটি এতই মনোমুগ্ধকর হয়েছে, যা দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছে উৎসুক মানুষ। বায়তুর রহমান জামে মসজিদ নামের এই মসজিদটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে।

জানা গেছে, জুমছড়ির ফয়জুর রহমানের পুত্র, এলাকার কৃর্তিমান ব্যক্তি সৌদি প্রবাসী ফিরোজ আহমদের একক অর্থায়নে চার কোটি টাকা ব্যয়ে অত্যন্ত নান্দনিক মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। দুই বছরের মধ্যে তিনতলা বিশিষ্ট মসজিদটি তিলে তিলে গড়ে উঠেছে।

বিশাল পরিসরের মসজিদটির দুতলা ইতিমধ্যে অত্যন্ত সুন্দররূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই তলাতেই রয়েছে চোখ ধাঁধানো কারুকার্য। তৈরি করা হয়েছে আধুনিক ডিজাইনের মিম্বর। সিলিংও করা হয়েছে অসাধারণ ডিজাইনে। দামি টাইলস দিয়ে মোড়ানো হয়েছে দেয়াল ও ফ্লোর। মসজিদের বাইরের অংশও সাজানো হয়েছে নানা নানন্দিক সাজে। অজুখানাসহ বাইরের অন্যান্য অংশেও সাজসজ্জার কোনো কমতি রাখা হয়নি। মসজিদের ভিতরে ও বাইরে নানা রংয়ের আলোকসজ্জা সব সৌন্দর্য্যকে দিয়েছে পূর্ণরূপ। বায়তুর রহমান মসজিদের এই সৌন্দর্য্য সব মানুষকে মুহূর্তেই বিমোহিত করবে নিঃসন্দেহ!

কক্সবাজার জেলাজুড়ে যে কয়েকটি সুরম্য মসজিদ রয়েছে তার শীর্ষ সারিতে থাকবে বায়তুর রহমান মসজিদ- এমনটি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই এই মসজিদটি দেখতে বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছুটে আসছেন। দেখতে এসে তারা মসজিদটিতে নামাজ আদায় করে প্রতিষ্ঠাতার জন্য দোয়া করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মসজিদটির কারুকার্য দেখতে ভীড় জমাচ্ছে ধর্মপ্রান লোকজন। বিশেষ করে প্রতি জুমাবার লোক সংখ্যার ব্যাপক সমাগম ঘটে।

মসজিদটি দেখতে এসে অতিথিরাও অসাধারণ বিমোহিত হয়েছেন। তারা মসজিদটি ঘুরে ঘুরে সৌন্দর্য্য অবলোক করেন এবং নির্মাণশেলীর ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। এমন একটি সুন্দর মসজিদ নির্মাণ করার জন্য অতিথিরা প্রতিষ্ঠাতা ফিরোজ আহমদের প্রশংসা করেন এবং তার জন্য দোয়া করেন।

মসজিদ নির্মাতার ছোট ভাই নুরুল আবছার জানিয়েছেন, মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ফিরোজ আহমদ সার্বক্ষণিক মোবাইলের ভিডিও কলে পুরো দুইটা বছর নির্মাণ কাজ তদারক করেছেন। তিনি তার মন মতো করেই সব কাজ করিয়েছেন। সৌন্দর্য্য ফুটিয়ে তুলতে কোনো ধরণের ঘাটতি রাখতে দেননি।

আরও খবর