এম ফেরদৌস, উখিয়া •
উখিয়া রত্নাপালং ইউনিয়নের ১,২,৩ মহিলা মেম্বারের আওতাধীন দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি+) যার পরিচিত নাম ( আলসিয়াভাতা) এর কার্যক্রমে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় সচেতন মহল।
জানা যায়, রত্নাপালং ইউনিয়নের ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মহিলা মেম্বার আঞ্জুমান আরা চৌধুরীর আওয়াতাধীন ইজিপিপি+ প্রকল্পের ৫০ জন দরিদ্র দিনমজুর নিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করেন। সেখানে নিয়মিত ১০/১৫ জন মতো সংস্কার কাজে উপস্থিত থাকলেও ৩৫/৪০ জন মতো অনুপস্থিত। এতে এ প্রকল্পের সংস্কার কাজ পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক সচেতন ব্যাক্তিবর্গরা। কিন্তু ৫০ জন প্রত্যেকজনের মুবাইল একাউন্টে টাকা ঠিকই যাচ্ছে। নেতৃত্বধীন মহিলা মেম্বার আঞ্জুমান আরা এবং অনুপস্থিত সদস্যরা মিলে ভাগ ভাটোয়ারার মাধ্যমে এ টাকা হালাল করে যাচ্ছিল। এমন অনিয়মের মধ্যে চলচিল এ প্রকল্পের কাজগুলো। কিন্তু হটাৎ টাকা ভাগ ভাটোয়ারায় গড়মিল হওয়ায় এ কাজে নিয়োজিত তালিকাভুক্ত কর্মী এবং জনিপ্রতিনিধির মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক দিনমজুর বলেন, আমরা নাম উল্লেখ করলে মেম্বার আমাদের অন্যন্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে তাই নাম বলতে অপারগ, তিনি জানান, আমি দিনমজুর দরিদ্র মানুষ আমাদের জন্যই সরকার এত বড় প্রজেক্ট দিয়েছে। সরকার গরিবের কথা চিন্তা করলেও অসাধু জনপ্রতিনিধিরা আমাদের কথা চিন্তা করতেছে না। যাদের কাছে আমরা আশা নিয়ে ছুটি তারাই আমাদের হক নষ্ট করতে চাই। আমার প্রাপ্য টাকা থেকে মেম্বারকে সম্মানি দিতে হবে না দিলে মুবাইল একাউন্ট বন্ধ করে দিবে বলে হুমকি দেয় এখন এই বিচার আমরা কাকে দিব।
আরেক দিনমজুর বলেন ,আমি ইজিপিপি প্রকল্পের নিয়মিত তালিকাভুক্ত কর্মী প্রকল্প সংস্কার কাজে আমি পারদর্শী একজন দিনমজুর। আমার প্রাপ্য টাকা থেকে মেম্বারকে অর্ধেক টাকা না দিলে মুবাইল একাউন্টে টাকা আসা বাধা সৃষ্টি করবে বলে আমাকে হুমকি দেন তিনি।
এরকম অনেক ঘটনা ঘটেছে রত্নাপালং ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের ইজিপিপি প্রকল্পের কাজে। তাদের নিজের মুবাইল ব্যাংক একাউন্ট থাকলেও মনের মধ্যে ভয় কাজ করে। মুলত তাদের কথা হচ্ছে ৫০ জনের জায়গায় আমরা ১০/১৫ কাজ করে যদি মেম্বারকে অর্ধেক টাকা দিয়ে পেলতে হয় বাকি ৩০/৩৫ জন কাজ না করে তাদের পুরা টাকা দেওয়া হচ্ছে কেন?
এ বিষয় নিয়ে অভিযুক্ত রত্নাপালং ইউনিয়নের মহিলা আসন- ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার আঞ্জুমান ইয়াসমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসব বিষয়ে সত্য মিথ্যা কাউকে বলতে বাধ্য নই। কার টাকা কে নিচ্ছে এসব কপিয়ত কাউকে দিব না। যারা এসব কথা বলতেছে তাদেরকে লিখিত অভিযোগ করতে বলেন এসব আমি দার দারি না আমাকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।
রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বলেন, বিষয়টা আমরা নিখুঁতভাবে তদন্ত করতেছি এগুলার সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত সময়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উখিয়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: আল মামুন বলেন, ইজিপিপি প্রকল্প কাজে যে জনপ্রতিনিধি অনিয়ম দুর্নীতি করবে তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-