চকরিয়া বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে সিংহ মৃত্যু!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া •


চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে সিংহরাজ ‘সোহেল’ এর মৃত্যু হয়েছে। বার্ধক্য জনিত কারণে এটি মারা গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।

বুধবার বিকেলে পার্কের বেষ্টনীতে সিংহটি মারা যায়। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কের তত্ববধায়ক মোঃ মাজাহারুল ইসলাম সিংহরাজ ‘সোহাল’ এর মৃত্যুর ঘটনায় চকরিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন।

দায়ের করা ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সাফারি পার্কের বয়স্ক সিংহ ‘সোহেল’ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে মারা যায়। চকরিয়া উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ সুপন নন্দী ও পার্কের ভেটেরেনারি সার্জন ডাঃ হাতেম সাজ্জাত ও মোঃ জুলকার নাইন মৃত সিংহের ময়নাতদন্ত করেন। মৃত সোহেলের ময়নাতদন্ত শেষে রাতেই পার্কের একটি নির্জন জায়গায় তাকে মাটি চাপা দেয়া হয়।

সাফারি পার্ক সুত্রে জানা যায়, একটি সিংহ স্বাভাবিকভাবে ১৫-১৮ বছর বেঁচে থাকে। ২০০৪ সালে চার বছর বয়সে সিংহটিকে ডুলাহাজারাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়। দীর্ঘ ১৮ বছর পার্কে থাকার পর ২২ বছরের মাথায় এই সিংহের মৃত্যু হয়েছে। বিগত ৩-৪ বছর ধরে সিংহরাজ ‘সোহেল’ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিল। বেশ কয়েকমাস যাবত ওই সিংহটিকে পার্কের ভেটেরেনারী হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিলো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের তত্বাবধায়ক মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, সিংহটি ২০০৪ সালে ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা থেকে চার বছর বয়সে ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আনা হয়। বার্ধক্যের সব লক্ষণ সিংহটির শরীরে ক্রমান্বয়ে প্রকাশ পায়।

২০১৯ ও ২০ সালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের চারজন শিক্ষক পৃথকভাবে তার চিকিৎসা করেন। তারাও অবজারভেশনে তার বার্ধক্য ও আয়ুষ্কাল শেষের দিকে বলে জানিয়েছেন।

আরও খবর