নিজস্ব প্রতিবেদক •
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালংয়ের ফলিয়াপাড়া এলাকায় গাভীকে ইনজেকশন ইনজেকশন দেওয়ার সময় ভুয়া প্রতারক পশু ডাক্তার মোহাম্মদ নুর (২৮) কে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দিয়েছে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস৷
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৮টার সময় ফলিয়াপাড়া এলাকা সরকারি ঔষধসহ তাকে ধরে প্রাণি সম্পদ অফিসে নিয়ে আসেন এক কর্মকর্তা৷ তাকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করা হলে সে তার প্রশিক্ষক রফিকুল ইসলামের উপর দায় এড়ায়।
ভুয়া ডাক্তারের বাড়ি টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া এলাকার মৃত কালা মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ নুর। ভুয়া অপর চিকিৎসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম থেকে সরকারি ঔষধগুলো সাপ্লাই করে মোহাম্মদ নুর গ্রামে গ্রামে গত ২ বছর ধরে পশু চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছে৷ রফিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে সরকারি ঔষধের কথা শিখার করলেও পরে কথা বলতে রাজি হয়নি৷ কিন্তু এই সরকারি ঔষধ কোথায় থেকে এসেছে এমন প্রশ্নের হদিস মিলছে না।
সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা কাছ থেকে সরকারি ঔষধগুলো সংগ্রহ করেছে রফিকুল ইসলাম৷ মোহাম্মদ নুর রফিকুল ইসলাম থেকে সরকারি ঔষধগুলো নিয়ে গ্রামে গ্রামে গিয়ে ইনজেকশন দিছে গবাদিপশুকে৷ আব্দুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম টেকনাফ উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের এল.ডি.ডি.পি প্রকল্পের এলএসপি কর্মরত আছেন৷ সে সুবাদে সরকারি সংগ্রহ করা তারজন্য কোনব্যাপারই না।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অসীম বরন সেন বলেন, মোহাম্মদ নুরকে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদ করা হয়েছে। সরকারি ঔষধ কোথায় থেকে এসেছে কিভাবে পেয়েছে এই সরকারি ঔষধ স্বীকার করেনি। তবে এমন অনৈতিক কাজ যাতে আর না করে সে জন্য তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে৷
উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারী উখিয়ার পূর্ব ডিগিলিয়া এলাকা থেকে ভুয়া পশু চিকিৎসক কে মুচলেকা দিয়ে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করেন উখিয়া উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিস।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-