বার্তা পরিবেশক •
টেকনাফের ‘কথিত’ বিএনপির নামে বিগত ২১ ফেব্রুয়ারির তথাকথিত সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে টেকনাফ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন। কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও উখিয়া-টেকনাফের জনপ্রিয় জননেতা মোহাম্মদ আবদুল্লাহকে জড়িয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট কল্প কাহিনী প্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হয়েছে ওই সংবাদ সম্মেলনে।
বুধবার টেকনাফে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমদ বিএ।
সুলতান আহমদ দাবি করেন, ২১ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ উপজেলা বিএনপির ব্যানারে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে মর্মে শাহজাহান চৌধুরীর ইশারায় অ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদাৎ বানোয়াট কল্প কাহিনী সাজিয়ে সংবাদ সম্মেলনটি করেছেন। ওই সংবাদ সম্মেলনে উখিয়া-টেকনাফ সংসদীয় এলাকার জনপ্রিয় বিএনপি নেতা মোঃ আবদুল্লাহর উপর ঘটনার দায় চাপিয়ে দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, শাহজাহান চৌধুরীর তথাকথিত নেতা অ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদাতের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। ইতোপূর্বেও এ ধরণের একাধিকবার ঘটনা ঘটেছিল। স্বয়ং শাহাদতের বাড়িতে ও হোয়াইক্যং দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি আলী আকবর মেম্বারের বাড়িতেও একই ধরণের ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তুু বারবার শাহজাহান চৌধুরীর ইশারায় জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহর উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কোন কিছু গোপন করা যায় না। টেকনাফে যদি সেদিন রাতে কোন ধরণের সহিংসতার ঘটনা ঘটে থাকলে ফেসবুকে কেন প্রচার করা হলো না? অথচ কথিত ঘটনার ২৪ ঘন্টা পর জেলা বিএনপির সভাপতি শাহাজাহান চৌধুরী ও কিছু বিএনপি নামধারী আওয়ামী এজেন্টের কুপরামর্শে কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের আগামী দিনের কান্ডারী হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে অধিক জনপ্রিয় মোঃ আবদুল্লাহর জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্ন্বিত হয়ে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার শুরু করেছে তারা।
সোলতান আহমদ দাবি করেন, একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে দলীয় ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা আব্দুল্লাহ ভাইয়ের নেতৃত্বে একসাথে চলে আসি। অথচ পরদিন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর ছোট ভাই সরওয়ার জাহান চৌধুরীর ছেলে সাফাত ফারদিনের ফেসবুক আইডি থেকে আমাদের নেতা মোঃ আবদুল্লাহকে জড়িয়ে হামলার মিথ্যা একটা স্ট্যাটাস দেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠলে ২৪ ঘন্টা পর জেলা বিএনপি সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী তার অনুসারী হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদতকে দিয়ে বানোয়াট গল্প বানিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করিয়েছেন। অথচ তৃণমূল নেতা কর্মীরা মনে করেন মোঃ আবদুল্লাহকে হেয় করতে ও তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি এবং ষড়যন্ত্র করে আসছিল ওই চক্রটি।
তিনি মনে করেন, এই সকল ষড়যন্ত্রের মূল নায়ক টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বরাস্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত জাফর চেয়ারম্যান, জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ও বিএনপি নেতা হাশেম মেম্বার- এই ৩ বেয়াই, হাশেম মেম্বারের মেয়ের জামাই টেকনাফের আলোচিত আলী উল্লাহ আলো হত্যা মামলার আসামী ইয়াবা গডফাদার আত্মসমর্পনকারী দিদার, শাহজাহান ও ইলিয়াছ, তাদের ব্যাবসায়িক পার্টনার নুরুল আমিন চৌধুরী, জামাত নেতা শাহজালাল চৌধুরী এবং বিএনপির পকেট কমিটির নেতা হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদৎ এরা সবাই মিলে এই ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিএনপির জীবনবাজ কর্মীরাই টেকনাফে জনপ্রিয় নেতা মোঃ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বিএনপির সংগঠনটি টিকিয়ে রেখেছিলেন। তারা বিভিন্ন মামলার আসামী হয়েছেন। আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অথচ তাদের বাদ দিয়ে পলাতকদের নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিটের কমিটি গঠন করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ইয়াবা কারবারীদের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেয়া হয়েছে। হাসান সিদ্দিকী ও শাহাদাৎ ইয়াবা কারবারীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়ে শাহজাহান চৌধুরীকে দিয়েছে। সংগত কারণেই নেতা-কর্মীরা বিক্ষুব্ধ হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, টেকনাফে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মোঃ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। দুঃসময়ে তাদের তিনি সান্তনা দিয়েছেন এবং আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন। তারাই আজকে বিএনপির নিয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিএনপি নেতা সোলতান আহমদ বিএ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচারিত মিথ্যা তথ্যে ও অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামী রাস্ট্রনায়ক তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে জননেতা মোঃ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
তিনি মনে করেন, অতীতেও যেমন বিভিন্ন জুলুম-নির্যাতন, মামলা-হামলা সহ্য করে বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য নেতা-কর্মীরা কাজ করে আসছিলেন, ভবিষ্যতেও উখিয়া-টেকনাফে বিএনপিকে শক্তিশালী করার জন্য উখিয়া টেকনাফের মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে মোঃ আবদুল্লাহর নেতৃত্বে সকলে ঐক্যবদ্ধ থেকে সাংগঠনিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবেন।
এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির অর্থ সম্পাদক ও টেকনাফ পৌর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক ও টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুল্লাহ, কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাফর আলম মেম্বার, জেলা বিএনপির সদস্য ও টেকনাফ পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ কাউন্সিলর, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি জালাল আহমদ মেম্বার, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুন্নবী, টেকনাফ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি আনোয়ার কামাল আনু, জেলা যুবদলের সদস্য ও টেকনাফ উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ছৈবর আলম, টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সিদ্দিক আহমদ মেম্বার, জেলা ছাত্রদলের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক ও টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এইচ এম ফারুক শরীফ, টেকনাফ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ সেলিম, তাঁতী দলের টেকনাফ উপজেলা সভাপতি ও টেকনাফ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবদুল আমিন, টেকনাফ উপজেলা তাঁতী দলের টেকনাফ উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আজিজ, তাঁতী দলের টেকনাফ পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক কায়েস মাহমুদ, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুর কামাল, সেচ্ছাসেবক দল টেকনাফ ইউনিয়ন সদর শাখার সাবেক আহবায়ক নুরুল ইসলাম ইসু, সেচ্ছাসেবক দলের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহ আজিজ, মৎস্যজীবী দলের উখিয়া-টেকনাফ উপজেলা সমন্বয়ক মোহাম্মদ তৈয়ব, টেকনাফ পৌর যুবদল নেতা আবদুর রহিম মুন্না, পৌর যুবদল নেতা মোহাম্মদ আমিন, টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবদুর রহমান বোখারী, টেকনাফ সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবদুল্লাহ আল নোমান, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের সভাপতি খাইরুল বশর,
টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক কায়সার লাদেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হাফেজুল্লাহ, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক শাহাদত কামাল হৃদয়, টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের সদস্য আবদুর রহমান, টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল সোহেল, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন দক্ষিণ শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ, টেকনাফ সদর ইউনিয়ন উত্তর শাখার সভাপতি নুরুল কায়ছার, টেকনাফ সদর দক্ষিণ ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাদেক, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ শফিক সাংগুলু, টেকনাফ উপজেলা ছাত্রদল নেতা জিয়া উদ্দিন, টেকনাফ পৌর ছাত্রদল ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, টেকনাফ পৌর ছাত্রদল ৪নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক,
টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি বেলাল উদ্দিন, টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি কেফায়েত উল্লাহ, টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ কায়সার, টেকনাফ পৌর ছাত্রদলের ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকিব, টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের ৬নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহেদ, শাহপরীর দ্বীপ সাংগঠনিক ইউনিয়ন সভাপতি আবদুর রহমান ইবনে আমিন প্রমূখ।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-