ইমরান আল মাহমুদ:
টেকনাফের কেরুনতলী এলাকার রোহিঙ্গা ডাকাতদলের প্রধান খায়রুল আমিনকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৫ সদস্যরা।
রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১৫ সহকারী পুলিশ সুপার মো. বিল্লাল উদ্দিন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান,টেকনাফের কেরুনতলী এলাকায় খায়রুল আমিন ডাকাত গ্রুপ এক আতঙ্কের নাম। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা খুন, গুম, অপহরণ, চাঁদাবাজি, ডাকাতি ও ইয়াবা ব্যবসা করে আসছে। রাত হওয়ার সাথে সাথেই উক্ত এলাকার আতঙ্ক সৃষ্টি করে এই ডাকাত গ্রুপ। এ তথ্যের ভিত্তিতে তাকে ধরতে গত ২-৩ মাস ধরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
তারই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে র্যাব-১৫ সদস্যরা জানতে পারে যে, ডাকাত গ্রুপের প্রধান খায়রুল আমিন টেকনাফের কাস্টমঘাট এলাকায় অবস্থান করছে। উক্ত সংবাদটি র্যাব-১৫ পাওয়ার সাথে সাথে আভিযানিক দল উক্ত এলাকায় বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে উৎপেতে থাকে। একপর্যায়ে রাত ১১টার পর আভিযানিক দল কুতুপালং রেজিস্ট্রার ক্যাম্প-১ এর এফ ব্লকের মৃত মোস্তাফিজের ছেলে খায়রুল আমিন(৩৮) কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় তার দেহ তল্লাশী করে ১টি দেশীয় পিস্তল ও ২রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতার আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে আরও জানায়, একদল ডাকাত টেকনাফের কেরুনতলীর গহীন অরণ্যে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ অবস্থান করছে। সে তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল আসামীকে সাথে নিয়ে রবিবার রাত তিনটায় টেকনাফের কেরুনতলী এলাকার গহীন পাহাড়ের ভিতরে অভিযান পরিচালনা করে। আসামীর দেয়া তথ্য ও দেখানো মতে ডাকাতদের আস্তানায় পৌঁছালে কতিপয় ডাকাত একটি বস্তা ফেলে অন্ধকারের মধ্যে পাহাড়ের ভিতরে পালিয়ে যায়। এসময় বস্তার ভিতর হতে ৩টি একনলা বন্দুক, ২টি থ্রি-কোয়ার্টারগান ও ৬রাউন্ড তাজা কার্তুজ পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদসমূহ নাশকতা এবং ডাকাতি করার উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে মজুদ করছিল বলে গ্রেফতার আসামী স্বীকার করে।
গ্রেফতার ডাকাতদলের প্রধান খায়রুল আমিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-