ড্রাইভের ১২ কিলোমিটার এলাকায় হবে সুউচ্চ বাঁধ। আর নিচে সুরঙ্গ পথ। যেখানে থাকবে রেস্টুরেন্ট, শপিং মল, আবাসনসহ আন্তর্জাতিক মানের সব সুবিধা। এমনই একটি প্রকল্প নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সড়কটি মূলত সৈকত ও মেরিন ড্রাইভের ভাঙ্গন রোধে নির্মাণ করা হবে।
কক্সবাজারে সমুদ্রের এই নীল জলরাশির পাশ ধরে পাল্টে যাচ্ছে সৈকতের চেহারা। বন্যা আর জ্বলোচ্ছাসে ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রক্ষায় তৈরি হবে বাঁধ। সৈকতের কলাতলী থেকে নাজিরাটেক পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশজুড়ে এই বাঁধ নির্মাণ করা হবে। যা হবে সমতল থেকে ১২ ফুট উচুঁ এবং ৫০ ফুট প্রশস্ত।
সৈকতের ঝাউবন ঠিক রেখেইে বাস্তবায়ন হবে প্রকল্পটি। এই বাঁধের নিচে হবে সুরঙ্গ পথ। যেখানে থাকবে শপিংমল, ওয়াসরুম, লকার, কফিশপ ও রেস্তোরাঁ। রেস্টুরেন্টের কাঁেচর জানালা দিয়ে দেখা যাবে সমুদ্র। সড়কের দুই পাশে পার্কিং এবং সাগর তীরের অংশে থাকবে বাইসাইকেল ও পায়ে হাটাঁর পথ।
সড়কের একপাশে থাকবে সমুদ্রতলের প্রাণিজগতের রহস্য দেখার আন্তর্জাতিক অ্যাকুয়ারিয়াম, ভাষ্কর্য, বিনোদন পার্ক, মুক্তমঞ্চ ও বিদেশি পর্যটকদের জন্য অবকাশ কেন্দ্র। নাজিরাটেক অংশ যুক্ত হবে কক্সবাজার বিমানবন্দর সড়কের সাথে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল পর্যন্ত। চলতি বছরেই শুরু হবে প্রকল্পের কাজ। সম্ভাব্য খরচ ৩ হাজার ১শ’ ৪০ কোটি টাকা।
এটি বাস্তবায়ন হলে সৈকত নগরীতে দেশিয় পর্যটকের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-