একদিনেই খুলে গেলো ভাগ্য, জেলের জালে ১৪ লাখ টাকার মাছ

বিশেষ প্রতিবেদক •

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় এক জালেই ধরা পড়েছে ১৪ লাখ টাকার লাল পোয়া মাছ। ভাগ্যমান দুই জেলের জালে মাছগুলো ধরা পড়েছে। এতে একদিনেই লাখপতি হয়ে গেলেন তারা।

এই দুই জেলে হলেন উপজেলার উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের আকবরবলী পাড়া গ্রামের জেলে সাচি মিয়ার ছেলে মো. মিজান ও মোস্তাক আহমদের ছেলে ছৈয়দ নুর।

বৃহস্পতিবার সকালে তাদের জালে ধরা পড়েছে ১১৬টি লাল পোয়া মাছ। প্রতিটির ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি। মাছগুলো বিক্রি হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। কক্সবাজার ফিশারিঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সওদাগর ও কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে মাছগুলো কিনে নেন।

মোস্তাক ও ছৈয়দ নুর জানান, বুধবার রাতে কুতু্বদিয়া চ্যানেলে জাল ফেলেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে জাল তুলতে গিয়ে দেখেন, টেনে কূলে আনা যাচ্ছে না। পরে কয়েকজন জেলের সহায়তায় জাল তোলা হয়। এতে দেখা যায়, বড় বড় লাল পোয়া লাফালাফি করছে। গণনা করে ১১৬টি পোয়া মাছ পাওয়া গেছে। প্রতিটি মাছের ওজন ৮ থেকে ১৫ কেজি।

মোস্তাক বলেন, প্রথমে মাছগুলো ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত দর উঠেছে। অনেক দরদামের পর কক্সবাজার ফিশারিঘাটের মোহাম্মদ সওদাগরসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী ১৪ লাখ টাকায় মাছগুলো কিনে নেন।

স্থানীয় জেলেরা জানিয়েছেন, কুতুবদিয়া দ্বীপে এর আগে এত পরিমাণ পোয়া মাছ কোনও জেলের জালে ধরা পড়েনি। খবর পেয়ে স্থানীয়রা মাছগুলো দেখতে আসেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আনোয়ারুল আমিন বলেন, এই জাতীয় পোয়া মাছ সহজে পাওয়া যায় না, এই মাছ গভীর সাগরে থাকে, ভাগ্যক্রমে জেলেদের জালে একসঙ্গে এতগুলো মাছ ধরা পড়েছে।

লাল পোয়া মাছ এত মূল্যবান কেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা মৎস্য কর্মকতা বলেন, লাল পোয়া মাছের বায়ুথলিটা সাধারণত এক ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়। এই বায়ুথলি দিয়ে বিভিন্ন চিকিৎসাজনিত কাজে ব্যবহারের জন্য নানা প্রকার সার্জিক্যাল মেডিসিন তৈরি করা হয়। তাই এই জাতীয় পোয়া মাছের দাম সবসময় বেশি।

আরও খবর