রফিক উদ্দিন বাবুল •
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া টেকনাফ সড়কের বাঁকে বাঁকে শ শ অপরিকল্পিত দোকান গড়ে তোলা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে এ ধরনের দোকানের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাওয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজট।
এসব দোকানে মাদকদ্রব্য বেচাকেনার অভিযোগে ইতিপূর্বে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করে। কিন্তু উচ্ছেদের পর কয়েক দিনের ব্যবধানে আবার দোকান বসে যায়। এলাকার সাবেক মেম্বার মৌলভী গফুর উল্লাহ জানান, সড়কের উভয়পাশে এভাবে দোকানপাট বসায় কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে প্রায়ই যানজট লেগে যায়। উখিয়া সদরের ১ কিলোমিটার মহুরীপাড়া থেকে পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী পর্যন্ত শ শ অবৈধ দোকান বসানো হয়েছে। সড়ক ও জনপদ বিভাগের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা এসব দোকানের ছবি ধারণ করতে গেলে ১০-১২ জন রোহিঙ্গা তেড়ে আসে। তাদের দাবি ছবি তুলে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত হলে প্রশাসন তাদের দোকানগুলো উচ্ছেদ করবে; তাই এ দোকানের ছবি তুলতে দেওয়া হবে না। অবশ্য পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছবি ধারণ করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক বিপিন বড়ুয়া অভিযোগ করে জানান, অধিকাংশ দোকানের মালিক রোহিঙ্গা নাগরিক। মানবাধিকার কর্মী বেলাল খান অভিযোগ করে বলেন, বন বিভাগ সংলগ্ন সড়ক দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানে রাতের বেলায় মাদক বেচাকেনা হয়।
উখিয়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা গাজী মো. শফিউল আলম জানান, অল্পসংখ্যক লোকবল নিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর দখলদারিত্ব ঠেকানো অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। তথাপিও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে জন্য ঊর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলে শিগ্গিরই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
কক্সবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার গোলাম মোস্তফা জানান, ইতিমধ্যে সড়কের পাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা দোকানপাট চিহ্নিত করা হয়েছে। সড়ক সম্প্রসারণ ও যানজট নিরসনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালানো হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-