কক্সবাজার প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের পেকুয়ায় পাহাড়ি এলাকার ত্রাস হিসেবে পরিচিত আব্দুল হামিদের অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। পরে অভিযান চালিয়ে বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
পেকুয়ার সীমান্তবর্তী গহীন পাহাড়ি এলাকায় র্যাবের একটানা ৪৮ ঘণ্টার অভিযান চলে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত। এ সময় আব্দুল হামিদের ভাই আব্দুল গফুর, বাদশা ও নাপিতখালী এলাকার আমিরুলকে আটক করা হয়।
র্যাব ৭-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ বলেন, উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার কবির আটক হওয়ার পর তার কাছ থেকে জানা যায়, টৈটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় ডাকাত আব্দুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। যেখানে অস্ত্র তৈরি ও বেচাকেনা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হয়।
তিনি বলেন, দুদিন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও আব্দুল হামিদ পালিয়ে যান। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম র্যাব-৭-এর একটি টিম পেকুয়ায় এ অভিযান শুরু করে। বুধবার রাতে শেষ হয় এ অভিযান। আটক তিনজনের মধ্যে ডাকাত আমিরুল একজন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর। ওই এলাকায় ১১টি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি পাহাড়ে এ বাহিনীর আস্তানা পাওয়া যায়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ আরো বলেন, এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীর সরদার কবির আহমদ ও তার ১৪ সহযোগীকে আটক করে র্যাব-৭-এর একটি টিম। দুর্গম এ এলাকাটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-