অপরাধ করলে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। রায়ে কি ঘোষণা আসছে তাঁর জন্য টেলিভিশনে খবর দেখছেন তিনি।
সোমবার রায় ঘোষণার আগে দুপুর দেড়টার দিকে এসব কথা বলেন সাবেক ওসি প্রদীপের সৎ ভাই রণজিত দাশ।
বাড়ির অদূরে রণজিত দাশের চায়ের দোকান। তিনি দোকানে টেলিভিশনের খবর দেখছেন বারবার। আবার কাস্টমারদের কাছে পণ্যও বিক্রি করছেন। ৫ ভাই ও ৭ বোনের মধ্যে রণজিত দাশ সবার বড়। ওসি প্রদীপ দাশের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার উত্তর সারোয়াতলী গ্রামে। মৃত হরেন্দ্র দাশের ৫ ছেলের মধ্যে ওসি প্রদীপ হলেন চতুর্থ সন্তান। হরেন্দ্র দাশ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) চাকরিজীবী ছিলেন।
টিভিতে রণজিত দাশ আলোচিত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার রায়ের অপেক্ষায় আছেন তিনি।
রণজিত দাশ জানান, ওসি প্রদীপের পড়াশোনা এবং বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। গ্রামেও আসতেন। প্রদীপের স্ত্রী ও দুই ছেলে রয়েছে। বাড়িতে অন্যান্য ভাইয়েরা পাকা বাড়ি রয়েছে। তবে ওসি প্রদীপের অংশের বাড়িটি এখনো টিন ও বেড়া দিয়ে জীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
ওসি প্রদীপের কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী খুব একটা তাঁদের ভালো চোখে দেখছেন না জানিয়ে রণজিত দাশ বলেন, ‘কারও একার অপরাধের দায় তো সবাই নিতে পারে না। তবুও আত্মীয়স্বজন সবার কাছে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে আমাদের।’
এদিকে বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া একটি মন্দিরের উৎসব হবে আগামীকাল। সে উপলক্ষে প্রদীপদের বাড়ির উঠানে করা হয়েছে প্যান্ডেল। কিন্তু আজ রায়ে দিনে সুনসান নীরবতা আর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করতে দেখা গেছে প্রদীপের গ্রামের বাড়ি ঘুরে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-