সুজাউদ্দিন রুবেল :
বিশ্বকে তাক লাগাবে কক্সবাজার। সুড়ঙ্গ সড়কে পাল্টে যাবে সমুদ্রসৈকতের চেহারা। পৃথিবীর দীর্ঘতম অখণ্ডিত সমুদ্রসৈকতে নতুন করে যুক্ত করা হয়েছে আন্তর্জাতিকমানের দৃষ্টিনন্দন সুড়ঙ্গ সড়ক। দিনের বেলায় সৈকতের রূপ দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যতটুকু মুগ্ধ করবে, তেমনি রাতের আলোকোজ্জ্বল ঝলমলে পরিবেশ আনন্দের মাত্রা বাড়াবে আরও কয়েকগুণ।
আর এদিকে সৈকতের ভাঙনরোধ হবে অন্যদিকে আন্তর্জাতিক আদলে কক্সবাজার সৈকতকে গড়ে তোলার লক্ষে এই প্রকল্প বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতকে আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে তুলতে যুক্ত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ১২ কিলোমিটার সুড়ঙ্গ সড়ক। সৈকতের মেরিন ড্রাইভের কলাতলী থেকে শুরু হয়ে নাজিরারটেক পয়েন্টে শেষ হবে। নাজিরারটেক অংশে যুক্ত হবে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংযোগ। সৈকতের বালুচরের ঝাউবাগান ঠিক রেখেই নির্মিত হবে সড়কটি।
যেখানে থাকবে শপিংমল, দোকানপাট, ওয়াশরুম, লকার, কফিশপ ও রেস্তোরাঁ। চেয়ারে বসে কাচের জানালা দিয়ে দেখা যাবে সমুদ্র ও সূর্যাস্ত।
সমতল থেকে সড়কটির উচ্চতা হবে ১২ ফুট, প্রস্থ ৫০ ফুট। সুড়ঙ্গের আদলে তৈরি সড়কের দুই পাশে গাড়ি পার্কিং এবং ওয়াকওয়ে বাদ দিয়ে দুই লেনের সড়ক হবে ৩০ ফুট। সড়কের পশ্চিম পাশে অর্থাৎ সমুদ্রের দিকে থাকবে বাইসাইকেল ও পায়ে হাঁটার পাশাপাশি থাকবে বিশ্রামের ব্যবস্থা।
এখানেই শেষ নয়, সুড়ঙ্গ সড়কের একপাশে থাকবে সমুদ্রতলের প্রাণিজগতের রহস্য দেখার আন্তর্জাতিক অ্যাকুয়ারিয়াম, মোড়ে মোড়ে চোখে পড়বে দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্য। বিনোদন পার্ক, মুক্তমঞ্চ ও বিদেশি পর্যটকদের অবকাশযাপনের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
বর্তমানে সাগরের উচ্চ জোয়ারের পানিতে ভাঙছে বালিয়াড়ি, তছনছ হচ্ছে ঝাউগাছ; সৌন্দর্য হারাচ্ছে সৈকত। তাই ভাঙনরোধে বাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি সৈকতকে দৃষ্টিনন্দন করার দাবি স্থানীয়দের।
সরেজমিনে ঘুরে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি জানান, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণে আন্তর্জাতিক আদলে গড়ে তোলা হচ্ছে কক্সবাজারকে।
প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য একনেকে ওঠানোর অপেক্ষায় রয়েছে। ১২ কিলোমিটারের সড়কটি নির্মাণে ব্যয় হবে ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-