কক্সবাজারে ভাঙারির দোকানে মিলল ২ হাজার নতুন বই

মহেশখালী প্রতিনিধি :

মহেশখালীতে ভাঙারির দোকান থেকে ২ হাজার কপি মাধ্যমিক পর্যায়ের নতুন বই উদ্ধার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুর ১২টায় মহেশখালী থানার ওসি মো. আবদুল হাইয়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজির পাড়া ছিদ্দিকের দোকান থেকে বইগুলো উদ্ধার করে। এসময় কাউকে আটক করা হয়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রুবেল নামের একজন খুচরা ভাঙারি বিক্রেতা বইগুলো বিক্রি করার জন্য ওই দোকানের মালিকের কাছে নিয়ে আসে। নতুন বই দেখে দোকান মালিক ও ভাঙারি ব্যবসায়ির সন্দেহ হলে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মো. সোলেমান ও লুৎফুর রহমানকে জানান। তারা ওই দোকানে গিয়ে বিপুল সংখ্যক নতুন বইয়ের মজুদ দেখতে পান। মজুদ বইগুলো ২০২২ সালের চলতি শিক্ষাবর্ষের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, বড় মহেশখালী বড় কুলাল পাড়া গ্রামের মনজুর আহমদের পুত্র রুবেল বইগুলো বিক্রি করে। বইগুলো লিডারশিপ কলেজে রাখা সরকারি গুদাম থেকে একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছে। এই সিন্ডিকেটটি ইতিমধ্যে অনেক বই অন্যত্র বিক্রি করেছে। এতে গুদামে দায়িত্বরতরা জড়িত বলেও জানা যায়।

এদিকে উপজেলার একাধিক মাদ্রাসার অধ্যক্ষরা জানান, এখনো সকল শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেয়া সম্ভব হয়নি। অথচ নতুন শিক্ষাবর্ষের বই ভাঙারির দোকানে বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি দুঃখজনক।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হাই জানান, শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণের সরকারি বই বিক্রি করাটা খুবই দুঃখজনক কাজ। বইগুলো পুলিশ জব্দ করে বর্তমান থানার হেফাজতে রাখা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী রুবেল নামে এক ভাঙারিওয়ালার নাম পাওয়া গেছে। পরবর্তী অনুসন্ধান ও আইনি উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মহেশখালী উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার ফজলুল করিম জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ঐ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।

আরও খবর