দু-একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

কক্সবাজার জার্নাল ডটকম •

দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ ঠেকাতে কারিগরি কমিটির প্রস্তাবনা অনুযায়ী দুই একদিনের মধ্যেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে শনিবার দুপুরে স্বাস্থমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেছেন।

এ সময় জাহিদ মালেক আরো বলেন, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা আগের চেয়ে ৪০০ গুন বেশি। তবে এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো পরিস্থিত হয়নি। আক্রান্তের হার অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) এক ডোজ টিকা ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসা যাবে না বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠক শেষে এ কথা জানান তিনি। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী নানা নির্দেশনাও দেন।

ভিডিও কনফারেন্সে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরো বলেন, লঞ্চ ও ট্রেনে উঠতে গেলেও ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করার চিন্তা করছে সরকার। এ ছাড়া বাড়ির বাইরে মাস্ক ছাড়া চলাচল বন্ধ থাকবে।

তিনি বলেন, করোনার দুই ডোজ ভ্যাকসিন না নিলে ট্রেন ও উড়োজাহাজে চলাচল করা যাবে না। সেইসঙ্গে রেস্তোরাঁ, শপিংমলেও প্রবেশ করা যাবে না। এ ছাড়া সামাজিক রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমাগম সীমিত রাখতে হবে বলেও জানান তিনি।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহনে অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে যাত্রী চলাচলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ভাড়া বাড়ানো যাবে না। এটি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বলে দেওয়া হবে।

বুস্টার ডোজ নিয়ে তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ দেওয়ার বয়স সীমা ৬০ থেকে কমানো হবে। ফ্রন্টলাইনাররা সবাই শিগগিরই বুস্টার ডোজ পাবেন।

কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এসব সিদ্ধান্ত কবে থেকে কার্যকর করা হবে সেটি দু-এক দিনেই জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আরও খবর