অণ্ডকোষে পিণ্ড : ক্যানসারের সবচেয়ে বড় লক্ষণ হলো টেস্টিকল বা অণ্ডকোষে ব্যথাহীন একটি লাম্প বা পিণ্ড অনুভব করবেন আপনি।
এক্ষেত্রে কোনো ধরনের ব্যথা বা অস্বস্তি দেখা যায় না। ফলে অনেক ক্ষেত্রে আপনি বুঝতে পারেন না। তাই অণ্ডকোষে কোনো পিণ্ড তৈরি হয়েছে কিনা তা খেয়াল রাখতে হবে।
অণ্ডকোষ ভারী অনুভূত হওয়া : অণ্ডকোষের তুলনায় অন্যটি ছোট বা বড় হওয়া, ফুলে যাওয়া বা একদিকে ঝুলে যাওয়া টেস্টিকুলার ক্যান্সারের উপসর্গ। এছাড়া অণ্ডথলি বা স্ক্রোটামে পানি আসা স্বাভাবিক, কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরে এই অবস্থা বজায় থাকাটা নিঃসন্দেহে অস্বাভাবিক। টিউমার থাকলে এমনটা হতে পারে। এর পাশাপাশি অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার দেখাতে দেরি করবেন না। কোনো পিণ্ড না থাকলেও অনেক পুরুষের কাছে অণ্ডথলি বা স্ক্রোটাম ভারী অনুভূত হতে পারে, চাপা ব্যথাও হতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসককে জানান এ লক্ষণটি।
স্তনে ব্যথা : টেস্টিকুলার ক্যানসারের কারণে পুরুষের স্তনে ব্যথা এমনকি তরল নিঃসরণ হতে পারে। কিন্তু কেন? অণ্ডকোষে টিউমার হলে সেখানে এক ধরনের প্রোটিন তৈরি হয়। যা স্তনে এসব প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। এতে বিব্রত না হয়ে চিকিৎসককে জানানো উচিত।
সময়ের আগেই বয়ঃসন্ধি : টেস্টিকুলার ক্যানসার শুধু বয়স্কদেরই নয়, বরং টিনেজার বা বয়ঃসন্ধিকালের কিশোরদেরও হতে পারে। অন্য কিশোরদের তুলনায় আগে বয়ঃসন্ধির লক্ষণ যেমন স্বরভঙ্গ এবং গোঁফ-দাড়ি গজানোটা টেস্টিকুলার ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে। এক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকে দেখানো উচিত।
তলপেটে ব্যথা : টেস্টিকুলার ক্যানসার বেড়ে যাওয়ার আরেকটি উপসর্গ হতে পারে তলপেতে ব্যথা। ফুলে যাওয়া লিম্ফ নোড এবং লিভারে এই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে।
পিঠে ব্যথা ও কাশি : ক্যানসার যখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়ায়, একে বলা হয় মেটাস্ট্যাসাইজিং। এর একটি লক্ষণ হতে পারে পিঠে ব্যথা, কাশি এমনকি ঘাড়ে ফুলে থাকা পিণ্ড। শরীরের যেকোনো স্থানে পিণ্ড দেখা দিলেই তা পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরী। কারণ এর অর্থ হতে পারে আপনার টেস্টিকুলার ক্যানসার আছে এবং তা ছড়িয়ে পড়েছে। এসব লক্ষণের যেকোনো একটি শনাক্ত করতে পারলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
প্রতিদিনের খাদ্য-তালিকার মাধ্যমে খুব সহজেই এ রোগ থেকে দূরে রাখতে পারবেন নিজেকে। আসুন জেনে নিই-
হলুদ : আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটি এক গবেষণায় বলা হয়েছে হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যানসার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ, বা মাছ ও মাংসের মত তরকারিতে প্রয়োজন মত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন। হলুদ ক্যানসার কোষকে শরীরের ভালো কোষকে নষ্ট করতে বাধা দেয় এবং ক্যানসার কোষকে নিস্তেজ করতে সাহায্য করে। সুতরাং নিয়মিত খাদ্যের মধ্যে হলুদ খেতে চেষ্টা করবেন।
রসুন : অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যারা রসুন খান তাদের ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এটি ক্যানসারের জীবাণু প্রতিরোধ করে। এমনকি কিছু ক্যানসারের জীবাণু ভেঙে ফেলে। তাই প্রতিদিন এক খোয়া রসুন খান, এটি আপনার ভেতরের ক্যানসারকে প্রতিরোধ করবে।
গাজর : গাজর পুষ্টিগুণে ভরপুর খাদ্য। গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন থাকে যা বিভিন্ন ক্যানসার যেমন ফুসফুস ক্যানসার, শ্বাসনালি ক্যানসার, পাকস্থলী ক্যানসার, অন্ত্র ক্যানসার এমনকি, স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর খেলে এসব ক্যানসার প্রতিরোধ করা সম্ভব।
টমেটো : টমেটো হচ্ছে ‘নিউট্রিশনাল পাওয়ারহাউজ’ যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে। টমেটোতে লাইকোপেন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা হৃদরোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে থাকে। টমেটোতে ভিটামিন এ, সি, এবং ই থাকে যা কিনা ক্যানসারবান্ধব মৌলের শত্রু। টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএর কোষ নষ্ট করে ফেলে। তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩টি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।
গ্রিন-টি : গ্রিন টি বা সবুজ চা ক্যানসার প্রতিরোধে অনেক উপকারী। এই সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটচিন নামক উপাদান থাকে, যা বিভিন্ন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, গ্রিন-টি টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। সাধারণ চায়ের চেয়ে গ্রিন-টি বেশি উপকারি। তাই চা না খেয়ে গ্রিন-টি বা সবুজ চা খেতে পারেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-