কক্সবাজারের ঘটনায় সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নেবে সরকার’

কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেছেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক অপরাধ। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আইন সমিতির ৩৫তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠিত ধারণাটি শুধু আইন-আদালতের বিচার-আচার আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করে না।

আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি, বিচারক বা আইনজীবী ছাড়াও নানা পেশায় ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপির ১৫ জন আইনজীবী আমার সঙ্গে দেখা করেছেন। এখন আমার যে ব্যাখ্যা সেটি আপনারা জানতে পারবেন। এটি নিয়ে অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতির বিষয়ে শিগগির আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

তিনি বলেন, এই সরকার ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি আইন বাতিল করেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার করেছে। এর থেকে বড় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার পদক্ষেপ আর কোনো সরকার নেয়নি।

কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক অপরাধ। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে সরকার প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে।

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠিত ধারণাটি শুধু আইন-আদালতের বিচার-আচার আর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ওপরই নির্ভর করে না। আইনের শাসন এখন অনেকগুলো পারিপার্শ্বিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। সে দৃষ্টিকোণ থেকেই বলছি, বিচারক বা আইনজীবী ছাড়াও নানা পেশায় ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন।

এদিকে কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণের’ ঘটনায় মামলা হলেও অভিযুক্তদের শুক্রবার পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

অন্যদিকে শুক্রবার কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন,ওই গৃহবধূ প্রাথমিক দৃষ্টিতে পর্যটক বলা যাবে না। কারণ এই নারী বারংবার কক্সবাজার আসার পেছনে অন্য রহস্য লুকায়িত আছে।তিনি বলেন, প্রায়ই এই নারী অনেক দিন ধরে কক্সবাজার রয়েছেন। এছাড়া যে স্থান থেকে অপহরণের কথা ওঠেছে ওই স্থান থেকে অপহরণ কোনোভাবেই সহজ নয়। কারণ ওখানে সর্বদায় ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল জোরদার থাকে। পাশাপাশি মানুষের প্রচুর সমাগম থাকে। সুতারাং সব কিছু মিলিয়ে এই ঘটনায় রহস্যের শেষ নেই। তবে আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আসল ঘটনা উদ্ঘাটন হবে।

আরও খবর