টেকনাফে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারীর ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট :

টেকনাফে পিতা ও চাচাদের মধ্যে পারিবারিক জমিজমা বিরোধের জেরধরে ব্যাডমিন্টন কোর্টে চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী ও সন্ত্রাসীর ছুরিকাঘাতে ৩ সন্তানেরজনক এক ব্যক্তি উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যায়।

জানা যায়,গত ২১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ১১টারদিকে টেকনাফের হ্নীলা ৬নং ওয়ার্ড লেচুয়াপ্রাং এলাকার ছৈয়দ হোছন প্রকাশ গুরা মিয়ার বাড়ির পাশে ব্যাডমিন্টন কোর্টে অন্য ছেলেদের সাথে তার ২য়পুত্র আব্দুল নবী (৩২) খেলছিল।

এসময় অর্তকিতভাবে নুর হোছনের পুত্র, এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারী, সন্ত্রাসী ও বখাটে আবছার উদ্দিন এবং তার সহযোগী পেঠান আলীর পুত্র আব্দুল হকের নেতৃত্বে একটি গ্রæপ এসে আব্দুল নবীকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়।

পরে উপস্থিত লোকজন রক্তাক্ত আব্দুল নবীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লেদা আইএমও হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। কক্সবাজার হাসপাতালে নেওয়ার পথেই উখিয়া অতিক্রম করলে সে মারা যায়। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

আব্দুল হক জানান, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম কিন্তু কাউকে ধরিনি।

স্থানীয় সুত্র জানায়, তারা পরস্পর আত্নীয়-স্বজন। তাদের মধ্যে বসত-ভিটা ও জমিজমা নিয়ে মতবিরোধ ও মামলা মোকর্দ্দমা চলে আসছে। এরই জেরধরে একে অপরের উপর হামলা এবং পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে আসছে। নুর হোছনের পুত্র আবছার উদ্দিন গংয়ের অপকর্মে বাঁধা হয়ে দাড়ায় এই আব্দুল নবী। তাই আব্দুল নবীকে খুন করে তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়।

এই ব্যাপারে হ্নীলা ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী এই নৃশংস হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করে জানান, এই ঘটনায় প্রকৃতভাবে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হোক। নিরীহ কোন লোকজন যাতে হয়রানির শিকার না হয়।

টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ হাফিজুর রহমানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বাইরে থাকায় বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। তবে তিনি খোঁজ-খবর নিচ্ছেন বলে জানান।

এই নিহতের পরিবার পোস্টমর্টেম শেষে মৃতদেহ দাফনের পর এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আরও খবর