সোয়েব সাঈদ, রামু •
বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব খানিকটা কমে যখন ওমিক্রন আতঙ্ক সর্বত্র ঠিক এসময়ে রামুতে দেখা দিয়েছে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব। গত এক মাসে রামুতে ৬ জনের দেহে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এতে আতংকিত হয়ে পড়েছে রামুবাসী।
ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরা বর্তমানে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একমাস আগে ডেঙ্গু শনাক্ত হলেও এনিয়ে কোন তৎপরতা ছিলোনা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।
তবে বৃহষ্পতিবার বিকাল থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং শুরু করে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসনের উল্লেখযোগ্য তৎপরতা না থাকায় হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন জনসাধারণ।
রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়–য়া জানান, গত এক মাসে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন ব্যক্তি ডেঙ্গু পরীক্ষা করেন।
এরমধ্যে রামু উপজেলার ৩ জন ও পাশর্^বর্তী ঈদগাঁও উপজেলার ২ জনের ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এছাড়াও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করার পর রামুর আরো এক ব্যক্তির ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। ডেঙ্গু আক্রান্তদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানান- ডেঙ্গু আক্রান্ত রামু উপজেলার ৪ জনই ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের বাসিন্দা। এদের মধ্যে কলেজ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গৃহবধু, বেসরকারি উন্নয়ন কর্মী রয়েছেন। বর্তমানে তাঁরা কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে ইতিমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা নিয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনকে আরো অধিকতর উদ্যোগ নিতে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রনয় চাকমা জানান- ডেঙ্গু প্রতিরোধে উপজেলা প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। ডেঙ্গু মশাবাহী রোগ। এ রোগ প্রতিরোধে প্রশাসনের পাশাপাশি সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বিশেষ করে অফিস ও বাসা-বাড়ির আঙ্গিনা বা আশপাশে কোন জলাশয় থাকলে তা পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা, জমে থাকা পানি অপসারণ করতে হবে।
ঘুমানোর সময় মশারি টাঙানো, জানালাতে মশা প্রতিরোধ নেট (জাল) ব্যবহার, মশা নিধনের ঔষধ, কয়েল বা স্প্রে ব্যবহার করতে হবে। এছাড়া শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ যতœ নিয়ে নিরাপদে রাখতে হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-