চট্টগ্রাম :
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি আবারও পিছিয়েছে।
আজ সোমবার (৬ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, কক্সবাজার আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার শুনানি রয়েছে সোমবার। এ কারণে ওসি প্রদীপকে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়নি। তাই আদালত ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানি ও প্রদীপের জামিন আবেদনের শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
এর আগে ২৯ নভেম্বরও অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছিল। আসামিপক্ষ সময়ের আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, গত ১ সেপ্টেম্বর প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। কিন্তু তার স্ত্রী পলাতক। এ বিষয়ে প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে।
তাঁর ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকা। বাকি ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। এ ছাড়া চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী দাবি করলেও এ ব্যবসায়ের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। অভিযোগপত্রে সাক্ষী রাখা হয়েছে ২৯ জনকে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-