মহেশখালী প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের মহেশখালীতে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়াসহ ২৫ জনের নামে মামলা হয়েছে।
মহেশখালী থানায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন নিজে বাদী হয়ে শনিবার মামলাটি করেন। তবে রোববার বিষয়টি জানাজানি হয়।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন— মহেশখালী উপজেলার সিকদারপাড়া গোরকঘাটা এলাকার যুদ্ধাপরাধী তালিকার ২২ নম্বর আসামি মৃত হাশেম সিকদার ওরফে বড় মোহাম্মদের ছেলে পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া (৫৩), তার ছেলে হাম্মাম শাহাজাদ (২১), মিরাজ উদ্দিন নিশান (২২), ইসহাক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মামুন (৪২), মকছুদ মিয়ার ভাই আতাউল্লাহ বোকারী (৪৫), মৌলানা আব্দু সবুরের ছেলে শামসু উদ্দিন (২৮), মঈন উদ্দিন (৩০), মৃত জাফরের ছেলে বশির উদ্দিন (৩৩), নুরুল ইসলামের ছেলে সাহেদুল ইসলাম (৩১), তৌহিদুল ইসলাম (৩৪), মৃত গুরা মিয়ার ছেলে সোলতানুল আলম (৫৬), মৃত জাফরের ছেলে রকি (২৮), মৃত ইসহাকের ছেলে জাহাঙ্গীর-প্রকাশ বিলাই জাহাঙ্গীর (৪৫), হাসান মোর্শেদ (২৫), পশ্চিম সিকদারপাড়ার মৃত মৌলভী আতিকুর রহমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫), মিজানুর রহমান (৪০), গোরকঘাটার চরপাড়া ৯নং ওয়ার্ড এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মাঈন উদ্দিন (২৮), পূর্ব সিপাহিপাড়া এলাকার সৈয়দ মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ শান্ত (২৬), জসিম উদ্দিন (২৪), ৪নং ওয়ার্ড নয়াপাড়া এলাকার মতলবের ছেলে গোলাপ শাহা (৩৫), ছোট মহেশখালী ডেইলপাড়া এলাকার মৌলভী আবছারের ছেলে ওবাইদুল মোস্তফা কাউছার (৩৬), ঘোনাপাড়া এলাকার সোলতান আহমদের ছেলে ফরিদ আলম- প্রকাশ কালা ফরিদ (২৭), দক্ষিণ ঘোনাপাড়া এলাকার মৃত মোছন আলীর ছেলে আলা উদ্দিন (৩৫), মহেশখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত মোহাম্মদ আমিরের ছেলে আলা উদ্দিন (৩২), মৃত নজিরের ছেলে আমান উল্লাহ (৩৫)।
মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মফিজুল ইসলাম।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের দাবি, হামলাকারীরা প্রকাশ্যে ঘোরাঘুরি করছে। তাকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেয়া হচ্ছে।
আমজাদ হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন জানান, হামলায় তার বাবা প্রাণে বাঁচলেও তিনি শঙ্কামুক্ত নন। তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি জানান, তার মাথায় দা দিয়ে কোপ দেয়া হয়েছে। হাতে, পায়ে রডের আঘাত আছে।
মামলার প্রধান আসামি মেয়র মকছুদ মিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তিনি সাড়া দেননি।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই জানান, মামলাটি সবেমাত্র হয়েছে। আসামিদের মধ্যে কেউ এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তবে আসামিদের আটকে পুলিশ তৎপর আছে।
গোরকঘাটা বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে গত ২৪ নভেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনকে ১৫-২০ জনের দুর্বৃত্ত কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর অবস্থায় তাকে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-