চকরিয়ায় ১০ ইউপি নির্বাচন: চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের পাঁচজন, সতন্ত্র দুইজন ও তিনজন বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী

এ কে এম ইকবাল ফারুক,চকরিয়া :

তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন  রবিবার (২৮ নেভেম্বর) বড় ধরণের কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগের পঁাচজন, সতন্ত্র দুইজন ও বিদ্রোহী তিনজন প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।

প্রথম বারের মতো লক্ষ্যারচর ও সাহারবিল ইউনিয়নে ইভিএম পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোটের দিন সকাল ৮টা থেকেই ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। কোন কোন ইউনিয়নের কেন্দ্রগুলোতে বিকাল চারটার আগেই ভোট গ্রহন শেষ হয়।

আবার কয়েকটি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটার উপস্থিতি বেশী হওয়ায় বিকাল চারটা পর্যন্তই যথারীতি ভোট গ্রহন চলে। নির্বাচনের দিন উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের সবগুলো ভোট কেন্দ্রেই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে এসব কেন্দ্র সমুহের নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বিপুল সংখ্যক র‍্যাব, দু’টি সাজোয়া যানসহ বিপুল সংখ্যক বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়। এছাড়া নির্বাচন চলাকালে বিভিন্ন ইউনিয়নে ২৩জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনকালীন দায়িত্ব পালন করেন।

সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত চেয়ারম্যানগন হলেন, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নে মহিউদ্দিন মো. আওরঙ্গজেব বুলেট (নৌকা) ঢেমুশিয়া ইউনিয়নে মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী (নৌকা), পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নে ফারহানা আফরিন মুন্না (নৌকা), পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (নৌকা), বদরখালী ইউনিয়নে নূরে হোছাইন আরিফ (নৌকা), শাহারবিল ইউনিয়নে নবী হোছাইন চৌধুরী (স্বতন্ত্র), কাকারা ইউনিয়নে মো. শাহাব উদ্দিন (বিদ্রোহী), কোনাখালী ইউনিয়নে দিদারুল হক সিকদার (বিদ্রোহী), বিএমচর ইউনিয়নে জাহাঙ্গীর আলম (স্বতন্ত্র) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নে আফজালুর রহমান চৌধুরী (বিদ্রোহী)।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসার শহিদুল ইসলাম বলেন, চকরিয়া উপজেলার ১০ ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোটররা নির্ভয়ে ও স্বতৎস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। নির্বাচনের দিন ইউসিয়স সমুহের সবগুলো কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করে বিপুল সংখ্যক র‍্যাব, সাজোয়া যানসহ বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়।

এছাড়া ২৩জন জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনকালীন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন। বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকায় কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবী করেন তিনি।

আরও খবর