এম.এ আজিজ রাসেল •
কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে উপ—নির্বাচন শুরু হয়েছে। রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৬টায় কেন্দ্রে আনা হয় ব্যালট পেপার। সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে।
সকালে লাইট হাউস দারুল উলুম মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, শীতের সকালে অনেক ভোটার আগেই কেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। কেউ বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। পুরুষ ভোটারের চেয়ে নারী ভোটারের সংখ্যা চোখে পড়ার মতো। ভোটার ও প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকদের সরব পদচারণায় উৎসবের আবহ বিরাজ করছে সর্বত্র। নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে মাঠে রয়েছেন জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা এস.এম শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেছেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দিতে সব ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে নেওয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা। ভোট কেন্দ্রে পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি নিয়োজিত আছে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সদস্যরা। জুডিশিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে রয়েছে স্ট্রাকিং ফোর্স। বিশেষ করে লাইট হাউস দারুল উলুম কেন্দ্র নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে।
প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা কোমর বেধে মাঠে নেমেছিল প্রার্থীরা। ভোটারদের মন জয় করতে দিন—রাত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গেছে তারা। এবার অপেক্ষা জয়ের। গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ ভোট উৎসবের অপেক্ষায় রয়েছে প্রার্থী ও ভোটাররা।
কক্সবাজার পৌরসভার পর্যটন এলাকার এই ভিআইপি ওয়ার্ডে পাঞ্জাবি প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাজী মোস্তাক আহমদ শামীম, ডালিম প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের উপ—প্রচার সম্পাদক এম.এ মনজুর, ব্ল্যালবোর্ড প্রতীক নিয়ে সাবেক ছাত্রনেতা আনসারুল করিম, উটপাখি নিয়ে শহীদুল ইসলাম শহীদ উটপাখি ও ব্রিজ প্রতীক নিয়ে সোহেল আরমান কাউন্সিলর পদে লড়ছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে, ১২নং ওয়ার্ডে মোট ভোটার রয়েছে ৬৩৮৩ জন। তৎমধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৬৩৭ জন, মহিলা ভোটার ২৭৪৬ জন। ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২টি ও নির্বাচনী বুথ রয়েছে ১৪টি। তারমধ্যে লাইট হাউজ দারুল উলুম মাদ্রাসা ভোট কেন্দ্রে ৩২০৮ জন এবং কলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩১৭৫ জন ভোটার রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-