চকরিয়া প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ভেতর ধানক্ষেত রক্ষায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে বন্য হাতি হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা হয়েছে। আনুমানিক ১৫ বছর বয়সের হাতিটিকে হত্যার পর মরদেহ গুম করতে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছিল।
হত্যার পাঁচ দিন পর বিষয়টি প্রকাশ পেলে বন বিভাগ পুঁতে ফেলা হাতিটিকে শনাক্ত করে। এরপর বন্যপ্রাণী চিকিৎসক দ্বারা সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত করা হয়। হাতিটি হত্যার ১৫ দিন পর বুধবার উপজেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বন বিভাগ পিওআর মামলা করে।
মামলায় জড়িত পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ তাদের আসামি করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের ছয় নম্বর ওয়ার্ডের মোছন সিকদার পাড়ার মৃত জব্বার আলীর ছেলে আহমদ হোছন ওরফে লুলা মিয়া (৫৫), মসজিদ মুড়া এলাকার মৃত শামসুল আলমের ছেলে জানে আলম ওরফে জানু (৩৫), মীর কাশেম আলীর ছেলে মো. হারুন (৩৩), ভাইয়া কাটার নন্না মিয়ার ছেলে জসীম উদ্দিন (৪০) ও গোদারপাড়ার আবদুস সালামের ছেলে মো. জমির (৪৫)।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের টৈটং বনবিট কর্মকর্তা জাবেদুল আব্বাছ চৌধুরী বাদী হয়ে এই মামলা করেন।
বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন ২০১২-এর তফসিল ০১-এর বিধি লঙ্ঘন করায় একই আইনের ৩৬ ধারার জামিন অযোগ্য দণ্ডনীয় অপরাধের ধারায় মামলাটি করে বন বিভাগ।
এ ব্যাপারে বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন, ‘ধানক্ষেত রক্ষায় বৈদ্যুতিক ফাঁদে ফেলে হত্যার ঘটনায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে কক্সবাজার জেলা পুলিশ এবং র্যাবকে লিখিতভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-