নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজারের উখিয়ায় টমটম (ইজিবাইকে) ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুই চালকের মধ্যে ঝগড়া থামাতে গিয়ে মোহাম্মদ রুবেল (১৮) নামের এক যুবকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার উপর হামলা চালিয়ে মুখে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার ব্যস্ততম স্টেশন কোটবাজারের জমজম মার্কেট এর সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত যুবককে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী অরজিন হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগীর অবস্থা খারাপ দেখে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে।
আহত যুবক রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের মৃত নুরুল হকের ছেলে মোহাম্মদ রুবেল এবং তার উপর হামলাকারী যুবক রুমখাঁ চৌধুরীপাড়া এলাকার আবু ছিদ্দিকের ছেলে টমটম চালক মোহাম্মদ রানা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জমজম মার্কেটের সামনে এক টমটমের সাথে অন্য টমটমের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে দুই চালক রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলীপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে রায়হান ও রুমখাঁ চৌধুরীপাড়া এলাকার আবু ছিদ্দিকের ছেলে মোহাম্মদ রানার সাথে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে রানা ক্ষিপ্ত হয়ে রায়হানকে মারতে শুরু করলে এমতাবস্থায় তাদের বিষয়টি মীমাংসার জন্য রুবেল এগিয়ে আসলে রানা রায়হানকে ছেড়ে দিয়ে তুমি কেনো ঝামেলা থামাতে আসছো বলে আকস্মিক রুবেলের উপর হামলা চালায় এবং একপর্যায়ে উপর্যুপরি আঘাতে রুবেলকে রক্তাক্ত করে। পরে পাশ্ববর্তী লোকজন এগিয়ে আসলে রানা পালিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী এক পান ব্যবসায়ী বলেন,
দুই চালকের মধ্য ঝামেলা হলে রুবেল আসে তাদের এ ঝামেলা শেষ করে দিয়ে মীমাংসার জন্য। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে উল্টো সে হামলার শিকার হয়। রানা নামের ছেলেটি তার উপর উপর্যুপরি আঘাত করে এতে তার থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয় এবং সে রক্ত তার শরীর বেয়ে রাস্তায় পরে।
তিনি আরও বলেন, তার রক্তে ভেজা রাস্তা আমি নিজ হাতে পরিষ্কার করেছি এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছি। এ ঘটনার উচিত বিচার হওয়া উচিত।
অন্যদিকে এ বিষয়ে রানার পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, টমটম পার্কিং নিয়ে রাতে তাদের মাঝে তর্কাতর্কিতে ঝগড়া হয় ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে রানা ও রুবেল দুজনেই আহত হয় এবং রুবেলের নাকে আঘাত লাগলে রক্তক্ষরণ হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী রেজাউলের সাথে কথা হয় এবং তিনি বিষয়টি আজ সন্ধ্যায় মীমাংসা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-